বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

পটুয়াখালীতে একই পরিবারের ৬৩ হাফেজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পটুয়াখালীর বাউফল ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামে শাহজাহান হাওলাদারের পরিবারের ৬৩ সদস্যই যে কোরআনের হাফেজ! সেই পরিবারকে সকলেই হাফেজ পরিবার হিসেবেই চিনে।

১৯৭১ সালে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন শাহজাহান হাওলাদার। তার ৬ ছেলে ও ৪ মেয়ে কোরআনের হাফেজ। তাদের বংশধররাও একই পথে হাঁটছেন। যার ফলে ২ বছর আগে তাদের পরিবারে ৫৭ জন হাফেজ থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ জন।

শাহজাহান হাওলাদার পৈতৃক ও মামাবাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে ১২টি মাদ্রাসা ও তিনটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

শাহজাহানের ছেলে হাফেজ জোবায়ের হাওলাদার বলেন, ‘আমি পঞ্চম ছেলে। বড় ভাই সৌদি আরবের জেদ্দায় থাকেন। সেখানকার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তার সন্তানরাও হাফেজ। আমাদের অন্য ভাই ও বোনরা তাদের সন্তানদের হাফেজ বানিয়েছেন।’

শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ‘আমার ১১ জন নাতজামাই, তারা সবাই হাফেজ। এছাড়া আমার পরিবারের ছেলে-মেয়ে, নাতবউসহ ৬৩ জন হাফেজ-হাফেজা রয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ জনই আন্তর্জাতিক হাফেজ। আমি সাতটা বই লিখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা হাফেজদের খুব ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় বাবা-মা মারা যায়। ফলে আমার পক্ষে হাফেজ হওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য আমি চিন্তা করেছি আমার সন্তানদের সবাইকে হাফেজ বানাব। তারা ইসলাম প্রচার করবে’।

বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শাজাহান হাওলাদার একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি পরিবারের ৬৩ সদস্যকে হাফেজ বানিয়েছেন এটা আমাদের গর্বের বিষয়।’

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ