রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক  শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অদৃশ্য শক্তি ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে: তারেক রহমান সংবিধান সংশোধন ছাড়া নির্বাচন হলে সেটি প্রহসনের হবে : বুলবুল

মানবাধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিক : আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাই মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার। তিনি বলেন, শুধু এ কমিশন নয়, যেই মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে কাজ করবে, সরকার তাকেই সহায়তা করবে।

সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ যেখানে বসবাস করে, সেখানে এখনো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পৌঁছাতে পারেনি।

তিনি শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ মানুষ এখনো তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়।

এসব মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনের পেছনেও ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে।

সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষে-মানুষে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে।

আইনমন্ত্রী কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনুসন্ধানের তথ্য কমিশন পাওয়া মাত্র সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন, যাতে সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারে।

বৈঠকে চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমিশনের কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান এবং তা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় তিনি কমিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ, অবৈতনিক সদস্যদের মর্যাদা নির্ধারণ, সরাসরি কমিশনের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো: মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো: গোলাম সারওয়ার, কমিশনের অবৈতনিক সদস্য মো: আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ