রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

সাবাহাবা পরিচিতি: যে নারী সাহাবি সাতজন কাফেরকে হত্যা করেছিলেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নোমান আব্দুল্লাহ।।

নাম ও বংশ পরিচয়

তার নাম উম্মে হাকিম। পিতার নাম : হারেস। মাতার নাম : ফাতেমা বিনতে ওয়ালিদ। যিনি খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. এর সহোদরা ছিলেন।
উম্মে হাকিম রা. মাখজুম গোত্রের ছিলেন। তার বংশধারা হলো, উম্মে হাকিম বিনতে হারেস বিন হিশাম বিন মুগিরা।

বিয়ে: সম্পর্কে আবু জাহল ছিলো তাঁর চাচা। চাচাতো ভাই ইকরিমা বিন আবি জাহলের সাথে তার বিয়ে হয়।

ইসলাম গ্রহণ: তিনি উহুদ যুদ্ধে কাফেরদের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে মক্কা বিজয়ের পর নিজের স্বভাবজাত সুরুচিবোধের কারণে পরিবারের সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেন।

জীবন: তার শ্বশুর আবু জাহল ছিলেন ইসলামের প্রধানতম শত্রুদের একজন। বদর যুদ্ধে তার ভবলীলাসাঙ্গ হয়। মক্কা বিজয়ের পর উম্মে হাকিম রা. ইসলাম গ্রহণ করলেও তার স্বামী ইকরিমা ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। পিতার মতো ইকরিমাও ছিলেন ইসলামের ঘোর শত্রু। কৃতকর্মের কারণে তার মাথার উপর ঝুলছিলো রাসুল সা. কর্তৃক ঘোষিত মৃত্যু পরোয়ানা। তাই ইকরিমা গোপনে ইয়েমেনে চলে যান। রাসুল সা. এর কাছে উম্মে হাকিম রা. স্বামীর জন্য নিরাপত্তার আবেদন জানালে, দয়ার নবী তার স্বামীকে ক্ষমা করে দেন। পরে ইকরিমা রা. রাসুল সা. এর কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।

ইসলাম গ্রহণের পূর্ব থেকেই ইকরিমা রা. এর বীরত্বের সুখ্যাতি ছিলো। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ইসলামের পক্ষে বীরত্বের সাথে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ইয়ারমুকের যুদ্ধে তিনি শহিদ হন।

ইকরিমা রা. শাহাদাত বরণের পর ইদ্দত শেষ হলে উম্মে হাকিম রা. এর খালেদ বিন সাঈদ বিন আস রা. এর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়েতে চারশত দিনার মোহরানা নির্ধারণ করা হয়। দামেশকের নিকটবর্তী মারজুস সফর নামক স্থানে তার বিয়ে হয়। যেখানে যেকোনো মুহূর্তে রোমান বাহিনির আক্রমণের আশঙ্কা ছিলো। উম্মে হাকিম রা. সাঈদ রা. কে সেখানেই অবস্থান করার কথা বলেন। সাঈদ রা. বললেন, আমার বিশ্বাস আমি এ যুদ্ধেই শাহাদাতবরণ করব।

পরে এক সেতুর পাশে (যা পরে উম্মে হাকিম সেতু নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে) তাদের বিয়ের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান শেষ না হতেই রোমানরা এসে পৌঁছলে, যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। একদিকে খালেদ রা. যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে গেলেন। আর অন্যদিকে নববধূ উম্মে হাকিম রা. বিয়ের মজলিশ থেকে উঠে নিজের কাপড় শক্ত করে বেঁধে নিলেন এবং তাঁবুর খুঁটি উঠিয়ে নিয়ে তা দিয়েই কাফেরদের উপর তীব্র আক্রমণ করে বসলেন। বর্ণিত আছে, তিনি তাঁবুর খুঁটি দিয়ে সাতজন কাফেরকে জাহান্নামে পাঠিয়েছিলেন।

ইন্তেকাল: তার ইন্তেকালের সময়কাল জানা যায়না। এমনিভাবে সন্তানসন্ততির ব্যাপারেও জানা যায়না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ