রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক  শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অদৃশ্য শক্তি ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে: তারেক রহমান

পাড়ার মসজিদের মক্তবে কুরআন পড়িয়ে বেতন নেওয়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে সকালের মক্তবই একমাত্র ভরসা। যে মক্তব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, করোনার এই সময়ে আবার চালু হয়েছে মসজিদের মক্তবগুলো। পুনরায় সচল হয়েছে মক্তবের বারান্দার সেই গুনগুনানি। শিশুদের কিচিরমিচির আওয়াজ। পাড়ার মসজিদে প্রতিদিন সকালবেলা ভেসে ওঠে কোরআনুল কারীমের সুর। সূরা ও দোয়া কালামের মাধ্যমে সকাল শুরু হয় শিশুদের। এ যেন আবার সেই পুরনো দিন ফিরে এসেছে। পুরনো আমেজ বিরাজ করছে গ্রামজুড়ে। যার সাক্ষী ছিলেন আমাদের মুরুব্বীরা।

কিন্তু আজ আমরা হারাতে বসেছিলাম সেই সুমধুর কোরআন সুর। সেই সকালের মক্তব। করোনার মহামারী এসে আবার সূচনা করে দিলো সেসব মক্তব। এ যেনো করোনার করুণা। তবে করোনার পরেও জারী থাকুক এ করুণা। চালু থাকুক কুরআনের মক্তবগুলো-সে কামনা।

প্রশ্ন হলো সকালের এ মক্তবে কুরআন পড়িয়ে বেতন নিতে পারবে  কি না? এমনই একটি প্রশ্ন দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে করেন জনৈক ব্যক্তি।

প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘আমাদের গ্রামের একটি মসজিদ। যার নাম হামজা মসজিদ। এ মসজিদে একটি মক্তব চালু আছে। যেখানে কুরআনুল কারীম নাজেরা ও হেফজ পড়ানো হয়। মসজিদে গত কয়েকছর যাবত মক্তবের নিজস্ব তহবিল থেকে সাধারণ ব্যয় নির্বাহ করা হতো। যা সাধারণ অনুদানের উপর নির্ভর করতো। বর্তমানেও এ মক্তবের জন্য অর্থায়নে কোন সমস্যা নেই।

এ পরিস্থিতিতে আমি জানতে চাই যে, যেখানে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান পেতে কোন ধরণের সমস্যা নেই, সেখানের মক্তবে প্রাথমিক কুরআন শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের থেকে ফি নেয়া যাবে কি?’

এমন প্রশ্নে জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের কুরআন পড়ানোর জন্য বেতন নেয়া যেতে পারে। তবে যদি সাধারণ অনুদান দিয়ে কাজ হয়ে যায়, তাহলে ছাত্রদের কাছ থেকে ফি না নেওয়াই ভালো। আর এমন অবস্থায় মক্তবটি মসজিদ কমিটির অধীনে চালানো উচিত। তাহলে হিসাব নিকাশে স্বচ্ছতা রাখা সহজ হবে।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ