মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবেন সেই ফয়সালা আল্লাহ করবেন : জামায়াতে আমির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান অধ্যাপক আখতার ফারুক রহ.-এর জীবন-কর্ম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হেফাজতের মহাসমাবেশ সফলে সাভারে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর জামিন পেলেন মাওলানা মাসউদুল করীম ইজতেমা মাঠের মামলায় মাওলানা মাসউদুল করীম কারাগারে নারী সংস্কার কমিশনের ত্রুটি জানানো হলো ঐকমত্য কমিশনকে ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

ফুলের হাসি নেই চাষিদের মুখে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুুফিয়ান ফারাবী।।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

সাভারের সাদুল্লাপুর। লোকমুখে পরিচিত গোলাপগ্রাম নামে। ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় চার শতাধিক কৃষক মালীর নেয় গোলাপ গাছে পরিচর্যা করেন গত ৩০ বছর ধরে। এই গ্রামের ফুলের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতীয় স্তম্ভগুলোতে। তবে সাধারণ ছুটির সময় বেশ দূর্ভোগে পড়তে হয়েছিল স্থানীয় ফুলচাষীদের!

স্থানীয় ফুল চাষি আব্দুল করিম জানিয়েছেন, করোনা প্রাদূর্ভাবের সময় আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছিলাম। আমাদের গাছের ফুল গাছেই পচেঁছে। কোন পাইকার আমাদের এখানে ফুল ক্রয় করতে আসেন নি। এতে আমাদের অসামান্য ক্ষতি হয়েছে।

পূর্বে আমি দৈনিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি হচ্ছে চারশো থেকে পাঁচশো টাকা। এদিকে করোনা ধকলের পর আবারও বুকভরা আশা নিয়ে ফুল চাষে মনযোগী হয়েছেন এ এলাকার গোলাপ চাষিরা। নতুন করে বাগানে পরিচর্যা শুরু করেছেন তারা।‌ আগাছা পরিষ্কার করে ফুল ফুটাতে তারা এখন পার করছেন ব্যস্ত সময়।

স্থানীয় ফুল চাষীদের অভিযোগ, গত ৩০ বছরে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে কোন প্রকার সরকারি আর্থিক সহযোগিতা পাননি তারা। তাদের হিসেবে করোনাকালীন সময়ে প্রতিজন কৃষকের আর্থিক ক্ষতি কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা।

এই পরিস্থিতিতে অনেকে গোলাপ চাষ পরিহার করে দীর্ঘদিনের শখের এই পেশা ছেড়ে দিয়ে বাধ্য হয়ে সবজি চাষ শুরু করেছেন গোলাপ বাগানে।

এমনি একজন ফুলচাষি আব্দুর রহমান। তিনি জানান, গত দশ বছর ধরে ফুল চাষ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু প্রায় পাঁচ মাস ফুলের ব্যবসা বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এই চাষি। আবার কবে স্বাভাবিক হবে ফুলের ব্যবসা তাও বুঝতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে অশ্রুশিক্ত নয়নে এখন গোলাপ বাগানে সবজি চাষ শুরু করেছেন আব্দুর রহমান ।

স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলছেন, গোলাপ চাষিদের জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি আমরা। উপজেলা থেকে পরিকল্পনার অনুমোদন পেলে অতি শিগ্রই একশো জন ফুল চাষিদের আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবো আমরা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ