বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

ইসমাঈল আ. এর বদলে জবাই করা দুম্বার যে নাম ছিলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী।।

কুরবানির প্রসিদ্ধ ঘটনা সবাই জানি । জানি হাবিল কাবিলের সে লম্বা ইতিহাস। তবে আজ ইতিহাসের সে দীর্ঘ পাঠ শুনাবো না পাঠকদের। শুধু জানাবো নবি হযরত ইসমাঈল আ. এর পরিবর্তে জবাই করা দুম্বার নাম।

এ নিয়ে ‍ইসলামি কিতাবাদিতে তেমন আলোচনা পাওয়া যায় না। তবে “আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ কিতাবে এর নামের ব্যাপারে শুধু এতটুকু এসেছে। ইমাম হাসান বসরি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবরাহিমের হাতে জবাই করা জন্তুটির নাম ছিলো ‘জারীর’। যেটি নবি ইসমাঈলের জন্য জবাই করা হয়েছিলো। (আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন)।

আর তাফসিরে ইবনে কাসিরে জন্তুটির গাড়গঠনের ব্যাপারে সামান্য ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। ইবনে কাসিরের সে আলোচনার পৃষ্ঠাতেও পাঠকদের দৃষ্টি ফিরাতে চাচ্ছি। ইবনে কাসিরের ১৬ নং খন্ডের ২১২ নং পৃষ্ঠায় ইসমাঈলের পরিবর্তে জবাই করা দুম্বার ব্যাপারে বলা হয়েছে, দুম্বাটির শিং ছিলো বড় বড় এবং চোখ ছিলো খুব সুন্দর। আর‍ দুম্বাটি জবাইয়ের পর তার মাথাসহ শিং কাবার দেয়ালে লটকিয়ে দেয়া হয়। পরে ওটা শুকিয়ে যায়। আর ইসলামের আবির্ভাব পর্যন্ত সেটি ওখানেই বিদ্যমান ছিলো।

সাহাবি হযরত ইবনে আববাস রা. থেকে জন্তুটিকে ভেড়া বলে উল্লেখ করা হয়। যেমন হযরত ইবনে আববাস রা. থেকে আস-সাওরী আব্দুল্লাহ ইবনে উসমান ইবনে খাইসাম ও সাঈদ ইবনে জুবায়ের বর্ণনা করেন যে, ‘এটা ছিল একটি ভেড়া। যা চল্লিশ বছর ধরে জান্নাতে বেড়িয়েছে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১/১৫৭-১৫৮)।

সর্বশেষ পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্তভাবে কুরবানি ইতিহাসের দু’লাইন উল্লেখ করছি। যা পবিত্র কুরআনে এভাবে এসেছে- (ইবরাহিম আ. যখন আমার কাছে দুআ করল), হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান কর। অতঃপর আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছাল, তখন ইবরাহিম বলল,  ‘ হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করছি। এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন। আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন। দুজনই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল আর ইবরাহীম তাকে কাত করে শুইয়ে দিল। তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহীম! স্বপ্নে দেয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। অবশ্যই এটা ছিল একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি এক মহান কুরবানির বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম। আর আমি তাঁকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। ইবরাহিমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! সৎকর্মশীলদের আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি। সে ছিল আমার মোমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা আস-সাফফাত:১০০-১১১)।

মূলত এখানে নবি ইসমাঈলকে জবাই করা উদ্দেশ্য ছিলো না বরং উদ্দেশ্য ছিল পিতা-পুত্রের আনুগত্য ও তাকওয়ার পরীক্ষা নেয়া।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ