বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

কবরস্থানে ফল গাছ লাগানো এবং তা খাওয়ার বিধান!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি নূর মুহাম্মদ রাহমানী।।

মৃত্যু এক অবধারিত সত্য। অনিবার্য বাস্তব। অমোঘ-অপরিবর্তনীয় এ বিধান থেকে কেউ রেহায় পায় না। আরবের এক কবির পুণ্য পংক্তি-
ওহে! আল্লাহ ছাড়া যা কিছু সবই মরণশীল। আর আনন্দের সকল কিছু নিঃসন্দেহে ধ্বংসশীল।

তবে প্রতিটি মুসলমানের জন্মের মুহূর্তে যেমন রয়েছে কিছু বিধি-বিধান, ঠিক তেমন মৃত্যুর পূর্বকালীন ও পরবর্তীকালীন রয়েছে কিছু বিধি-বিধান, গোসল, কাফন-দাফন, নামাযে জানাযা এর মধ্যে অন্যতম, যে বিধানগুলো জানা অতীব প্রয়োজনীয়। সঠিক বিধান জানা না থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে হয় মারাত্মক ভুল। ফলে আমাদের প্রিয়জনদের দিতে পারিনা সুন্দরভাবে আখেরী বিদায়টুকু। আর এটা আমাদের জন্য যারপরনেই দুঃখজনক।

আজকে আপনাদের সামনে এ ধরনেরই একটি বিধান নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা রাখি যে, কবরস্থানে বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো এবং সে ফল খাওয়া জায়েয কি না? বিষয়টি আমাদের অনেকের মনেই খটকা লেগে থাকে।

এ ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হলো, কবরস্থানের খালি জায়গা যেখানে কবর নেই, সেখানে অন্য কোনো কাজে জায়গাটা ব্যবহার করা নাজায়েয। অবশ্য সেখানে বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ লাগানো জায়েয। কিন্তু লক্ষ রাখতে হবে যেন লাশ দাফনের কোনো অসুবিধা না হয় এবং এই কাজের জন্য কবরের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে না হয়।

কবরস্থানের ফল খাওয়া হালাল। কবরস্থানের ফল হওয়ার কারণে খাওয়া যাবে না এটা একটা অযথা কথা। এমন আকিদা রাখা কুসংস্কার।
তবে কবরস্থান যদি কারো ব্যক্তি মালিকানায় হয়, তাহলে মালিকের অনুমতি নিয়ে খেতে হবে। যদি ব্যক্তি মালিকানায় না হয়, বরং ওয়াকফকৃত হয় তাহলে ওয়াক্ফকৃত কবরস্থানের গাছপালা ও ফলমূল ওয়াক্ফের সম্পত্তি।

তাই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কবরস্থান বা ওয়াক্ফিয়া কবরস্থান উভয়টির সকল উৎপাদন কবরস্থানের নিজস্ব সম্পদ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলোকে বিক্রি করে কবরস্থানের উন্নয়ন ও সংরক্ষণের কাজে লাগাবেন। এলাকাবাসীর জন্য বিনামূল্যে এ ধরনের কবরস্থানের ফলমূল ভোগ করা জায়েয নয়।-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৮৭৩; ফাতাওয়া আলমগীরী ২/৪৭৩; ফাতাওয়া দারুল উলূম ৫/৪১১, কিফায়াতুল মুফতী।

(লেখকের কাফন-দাফনের শরয়ী বিধান অবলম্বনে রচিত)
লেখক: মুহাদ্দিস জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম বাগে জান্নাত ৪৩ নবাব সলিমুল্লাহ রোড, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ