বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

স্বার্থপর হওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে ইসলাম যা বলে!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অনুবাদ: শাফনুন কবীর>

আধ্যাত্মিক গুনাহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি হলো স্বার্থপরতার গুনাহ: শুধু নিজের প্রয়োজনের/চাহিদার ব্যাপারে ভাবা নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া এবং কখনোই অন্যদের প্রয়োজনের প্রতি যত্নবান না হওয়া বা গুরুত্ব না দেয়া।

আল-কুরআনে বলা হয়েছে, এবং মানুষের মধ্যে কৃপণতা বিদ্যমান রয়েছে। (সূরা আন-নিসা, ১২৮ নং আয়াত; ৪:১২৮) অর্থাৎ মানুষ হিসেবে আমাদের প্রকৃতিগত স্বভাব এটাই যে আমরা স্বার্থপর এবং আমাদের এই স্বভাবের বিরোধিতা করতে হবে ও সহানুভূতিশীল হতে হবে।

এটা খুবই কৌতূহলের একটি বিষয় যে এই উপরক্ত আয়াতের অংশবিশেষ আসলে বৈবাহিক কোলাহল সংক্রান্ত কিছু আয়াতের মধ্যে এসেছে অর্থাৎ বিশেষ করে, স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের প্রয়োজনের প্রতি অসহনুভূতিশীল ও স্বার্থপর হওয়া অনুচিত। বাস্তবিকপক্ষে, নিজের স্বার্থপরতার উপরে জয়লাভ করা ধার্মিকতার ও বদান্যতার অংশ। যেটার ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম। (সুরাতুল হাশর, আয়াত ৯; ৫৯:৯)

আমাদের রাসুল সা. বলেছেন, তোমরা কৃপণতাকে ভয় কর। কেননা কৃপণতার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা ধ্বংস হয়েছে। (সুনান আবু দাউদ, কিতাব আল-যাকাত, হাদিস ১৪৩)

অবশ্যই, কোন একটি পর্যায়ে আমাদের নফস ঠিকই আমাদের বলে নিজস্ব প্রয়োজন ও চাওয়াগুলোকে অন্যদের উপরে গুরুত্ব দিতে। ঠিক এখানেই ভালোবাসা টেনে আনার খুবই প্রয়োজন যখন আপনি সত্যিই অন্য কাওকে ভালোবাসবেন, সেই মানুষের চাওয়া ও প্রয়োজন আপনার নিজেরগুলোর আগে প্রাধান্য দিবেন। আর যখন আপনি আল্লাহ-কে ভালোবাসবেন, তখন আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বিসর্জন দিয়ে কাজ করবেন আল্লাহর জন্যে।

একজন স্বার্থপর মানুষ অন্যদের দ্বারা ঘৃণিত যদিও বা সে মনে করে যে সে নিজেকে সবচেয়ে ভালোবাসে; আর যে মানুষ উদার ও সহানুভূতিশীল সে অন্যদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় যদিও বা সে মনে করে যে সে অন্যদের বেশী ভালোবাসে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ