বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
৬ষ্ঠ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক শিগগিরই ইস্যু হচ্ছে হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের আহ্বান ইসরায়েলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা  নিশ্চিত করতে হবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ কীভাবে সংকলিত হয়, কেন গুরুত্বপূর্ণ সৌদি পৌঁছেছেন সাড়ে ৯ হাজার হজযাত্রী ‘আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপন্যাসে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরেন তিনি দারুল উলূম রামপুরার কেনা জায়গা দখলের পাঁয়তারা, নির্মাণকাজে বাধা ইসলামবিরোধী নারী কমিশন নিয়ে আলোচনা করতে খতিবদের প্রতি হেফাজতের আহ্বান

কমোরোসের অধিবাসীদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় মাদরাসায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পশ্চিমের অ্যাটলাস পর্বতমালা থেকে প্রাচ্যের মালয় দ্বীপপুঞ্জ এবং আফ্রিকার মরূভূমি থেকে মধ্য এশিয়ার সমতলভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত পঞ্চাশের অধিক মুসলিম দেশ রয়েছে।

এগুলোর মধ্যে যেমন ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো জনবহুল দেশ অন্তর্ভুক্ত, আবার মালদ্বীপ এবং কমোরোসের মতো অল্প জনসংখ্যার দেশও রয়েছে।

হ্যাঁ, কমোরোস। পুরো নাম ইউনিয়ন অব কমোরোস। কমোরোস হচ্ছে দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দেশ, যা কৌশলগতভাবে ভারতীয় মহাসাগরে, আফ্রিকান মহাদেশের পূর্বে অবস্থিত। দেশটি মাদাগাস্কার এবং মোজাম্বিকের দেশগুলোর খুব কাছে অবস্থিত।

দেশটির রাজধানীর নাম ‘মোরনি’। প্রায় নয় লাখ জনসংখ্যার এই দেশটির আয়তন এক হাজার ৮৬২ বর্গ কিলোমিটার। দেশটির দ্বীপগুলো রাষ্ট্রপতি দ্বারা শাসিত, যদিও একটি দ্বীপকে ফ্রান্সের একটি বিদেশী অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কুমোরস দ্বীপুঞ্জের প্রধান ধর্ম ইসলাম। দেশটির বেশির ভাগ মানুষই সুন্নি মুসলমান। অন্য দেশের তুলনায় এই দেশটি ক্ষুদ্রতর হওয়া সত্ত্বেও, যারা এটি দেখার জন্য যায় তারা এটিকে একটি গোপন রত্ন হিসেবে বিবেচনা করেন।

কমোরোস আয়তনের দিক থেকে আফ্রিকার তৃতীয় ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। তিনটি প্রধান দ্বীপসহ অজস্র দ্বীপের সমন্বয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটি গঠিত। সব দ্বীপই আগ্নেয়। পূর্ব আফ্রিকা থেকে বান্তু ভাষাভাষিরা এই এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপন করে।

উনবিংশ শতাব্দীতে ফরাসি ঔপনিবেশ ছিল। ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পরও দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। অন্তত ২০ দফা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে, কয়েকজন শাসকও নিহত হন।

অত্যন্ত দরিদ্র দেশটির আয়ের প্রধান উৎস কৃষি, মাছধরা ও শিকার। পড়াশোনার ক্ষেত্রে আরবিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বেশিরভাগ মানুষই শিক্ষাজীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে থাকে।

দেশটির নিজস্ব কোনো হরফ নেই, মূলত আরবি ও ল্যাটিন হরফ ব্যবহার করে তারা। দেশটির দাপ্তরিক ভাষা কমোরোস, আরবি ও ফরাসি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ