রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

মুরগির ডিম থেকে তৈরি হবে ক্যান্সারের ওষুধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ক্যানসার একটি জটিল মারাত্মক রোগ। এটি শরীরের যেকোনো অঙ্গে হতে পারে। এটি টিউমার অথবা অদৃশ্য রক্তের শ্বেতকণিকা হতে পারে। ক্যানসার একটি মাত্র কোষ থেকে সৃষ্টি হয়। পরে তা ছড়িয়ে পরে।

মরণব্যাধি ক্যান্সারের প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি হবে মুরগির ডিম থেকে। এমনটাই বলেছেন একদল গবেষক। তারা বলছেন, বিশেষ পদ্ধতিতে মুরগির শরীরে জিতগন পরিবর্তন আনা হবে। তারপর সেই মুরগির দেয়া ডিমের উপাদান নিয়ে ওষুধ তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ক্যান্সারের ওষুধ কারখানায় তৈরি করতে যে ব্যয় হবে, তা একশ’ গুণ কম খরচে মুরগির মাধ্যমে উৎপাদন করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এ পদ্ধতিতে ক্যান্সারের ওষুধ বাণিজ্যিকভাবেও বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব বলেও গবেষক দলের দাবি।

এ বিষয়ে ব্রিটেনে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন টেকনোলজিসের গবেষক ড. লিসা হেরন বলেন, বৈজ্ঞানিক উপায়ে মুরগির শরীরে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রবেশ করানো হবে। তারপর স্বাভাবিক ভবেই মুরগি ডিম দিবে। সেই ডিম থেকেই ওষুধের উপাদান সংগ্রহ করা হবে। এতে মুরগির স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না।

কারখানায় তৈরির চেয়ে এ পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় প্রোটিন উৎপাদনের খরচ ১০ থেকে ১০০ গুণ কমানো সম্ভব। কেননা, মুরগির মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে প্রোটিন উৎপাদন তৈরি হওয়ায় ব্যয় কমবে।

এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলেন স্যাঙ বলেন, এ গবেষণার মাধ্যমে মানুষের শরীরে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় অগ্রগতি আসবে। বিশেষ করে এ পদ্ধতিতে মুরগির ডিম থেকে পাওয়া প্রচুর প্রোটিন ব্যবহার করা সম্ভব। এর আগে বিজ্ঞানীরা এ ধরনের পরীক্ষায় ছাগল ও খরগোশকেও ব্যবহার করেছেন।

তাতে সফলতার মুখ দেখার পর মুরগির ডিমে পরীক্ষা চালানো হয়। এটি আগের যে কোনো পরীক্ষার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী, উন্নত ও সাশ্রয়ী।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ