রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

১৯৭৮ সালে কাবা আক্রমণকারীর ছেলে এখন সৌদির কর্নেল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: কেউ কি কল্পনা করতে পারবে, বায়তুল্লাহ আক্রমণকারী এক সার্জনের ছেলে এখন সৌদি আরবের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্নেল?

চরমপন্থী একটি দল ১৯৭৯ সালে বায়তুল্লাহয় হামলা করেছিলো, হামলায় অংশ নেয়া এক সন্ত্রাসীর ছেলে বর্তমানে সৌদি নিরাপত্তাবাহিনীর কর্নেল এমনটাই খবর দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া উর্দূ।

সে হামলাকারীর নাম ছিলো জুহাইমান আল-ওতাইবি। তার ছেলে হিজাল। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ন্যাশনাল গার্ডের এ পদ পেয়েছে বলে জানা গেছে।

তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সরকার তাকে কাজ থেকে বরখাস্ত করেনি বলেও জানায় পত্রিকাটি।হিজাল সৌদি আরবের ন্যাশনাল গার্ডের কর্মকর্তা। তিনি কর্নেলের পদে সম্প্রতি পদোন্নতি লাভ করেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

যখন এ হামলা হয়েছিলো তখন হিজালের বয়স ছিলো মাত্র এক বছর। সে স্নাতক শেষ করে সৌদি আরবের ন্যাশনাল গার্ডে নিয়োগ লাভ করে।

এদিকে তার ব্যাপারটা নিয়ে সৌদি সামাজিক মিডিয়াতে কর্নেলের পদে অগ্রগতির খবর প্রকাশ করার পর অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করেছে।

কেউ কেউ আবার এমনও বলেছেন, এটা শুধু সৌদি আরব দেখে সম্ভব হয়েছে না হয় কখনো এমন ঘটনা ঘটতো না।

ইতিহাস ঘাটলে এ ঘটানার ব্যাপারে বল হয় ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ইসলামি চরমপন্থীরা মসজিদ আল-হারাম দখল করে, যা ছিল মূলত সউদ রাজ পরিবাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

বিসফটি – বিস্তারিত জানুন

বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে, ইমাম ‘মাহাদি’ হিসেবে তাদের নেতা চলে এসেছে। মুসলমানরা তাকে মেনে চলবে।

এ ঘটনা মুসলিম বিশ্বকে বিস্মিত করে কারণ হজ পালনরত হাজার হাজার মুসলিমকে বন্দী করা হয়। মসজিদের নিয়ন্ত্রণ পুনুরুদ্ধারের জন্য লড়াই-এ শতশত জঙ্গি, নিরাপত্তা বাহিনী ও বন্দী নিহত হয়।

দুই সপ্তাহ যুদ্ধ শেষে মসজিদ জঙ্গিমুক্ত হয়। হামলার পর, সৌদি রাষ্ট্রে অধিকতর ইসলামি অনুশাসন কায়েম করা হয়।

জুহাইমান আল-ওতায়বি সম্ভ্রান্ত নাজদ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যার নেতৃত্বে এই অবরোধ হয়। তিনি ঘোষণা করেন, তার ভগ্নীপতি মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল কাহতানি ইমাম মাহদী হিসেবে করেক বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন।

তার অনুসারীরা এই মতবাদ মেনে নিল যে, আল- কাহতানি-র নাম এবং তার পিতার নাম - মুহাম্মদ সা. এর নাম ও পিতার নাম একই। তারা আক্রমণের দিন হিসেবে (২০ নভেম্বর, ১৯৭৯), ১৪০০ হিজরি সালের প্রথম দিন নির্ধারণ করে, যেটি এক হাদিসে মাহাদি পুনরুত্থান দিন হিসেবে বলা আছে বলে দাবি করে তারা।

রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণে বন্দী অবস্থায় জুহাইমান কাহাতানি মিলিত হন, সেখানে আল-অতায়েবি বলেন তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, আল্লাহ তাকে বলেছে যে, কাহাতানি মাহাদী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তাদের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল, আসন্ন রহস্যোদ্ঘাটনের প্রস্তুতি হিসেবে একটি দিব্যতন্ত্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা। তাদের অনুগামীদের মধ্যে অনেকেই মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্বের ছাত্র।

বাকিরা এসেছিল মিশর ইয়েমেন, কুয়েত ও ইরাক আরও কিছু ছিল সুদানের নিগ্রো মুসলিম।

https://twitter.com/to_90/status/1034770072554885120

সূত্র: আল-আরাবিয়া। নিউজ লিঙ্ক

-আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ