রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই

সব রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ‘বিচিত্র’ শর্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৭ লাখ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার।

তবে শর্ত- যদি তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চায় কেবলমাত্র তাহলেই তাদের আশ্রয় দিবে দেশটি।

শনিবার সিঙ্গাপুরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘সাংগ্রি লা ডায়ালগে’ একথা জানিয়েছেন করেছেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং তুন। খবর রয়টার্সের।

নিরাপত্তা সম্মেলনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি কি মিয়ানমারকে জাতিসংঘের আরটুপি (রেসপন্সসিভিলিটি টু প্রটেক্ট) ফ্রেমওয়ার্ক চালুর দিকে নিয়ে যাবে? কথিত এই আরটুপি ফ্রেমওয়ার্কটি ২০০৫ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে গ্রহণ করা হয়।

এর মধ্য দিয়ে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে নিজ দেশের জনগণকে রক্ষা এবং এই প্রতিশ্রুতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে এক দেশ অন্য দেশকে সহযোগিতা করবে।

জবাবে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি স্বেচ্ছায় সাত লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করতে রাজি আছি। এটাকে কি জাতিগত নিধন বলা যায়?’

‘রাখাইনে কোনো যুদ্ধ চলছে না, সুতরাং এটা কোনো যুদ্ধাপরাধ নয়। এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এজন্য আমাদের পরিষ্কার প্রমাণ প্রয়োজন। গুরুতর এই অভিযোগ প্রমাণ করা উচিত এবং এটিকে হালকাভাবে নেয়া উচিত হবে না।’

আন্তর্জাতিক দাতব্যসংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাখাইনে কমপক্ষে ৯ হাজার ৪০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শুধুমাত্র সহিংসতার কারণে প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৭০০ জনের (নিহতদের ৭১.৭ ভাগ)। নিহতদের মধ্যে ৭৩০ শিশু রয়েছে; যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে।

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধনে ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। তবে অভিযানের শুরু থেকেই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে দেশটি।

থাউং তুন বলেন, রাখাইনের যে আখ্যান প্রকাশিত হচ্ছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’। তিনি বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার সেটাকে অস্বীকার করছে না। রাখাইনের মুসলিম জনগোষ্ঠী যে ভুক্তভোগী তা অস্বীকার করা হচ্ছে না। বৌদ্ধ ধর্মালম্বী রাখাইন, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও কম নিপীড়িত হচ্ছে না।

এই উপদেষ্টা জানান, দেশকে রক্ষার অধিকার রয়েছে সেনাবাহিনীর। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় তারা আইন লঙ্ঘন করেছে তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন- রোজা পালনে বয়স্কদের জন্য ৬ টিপস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ