বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রতিটি রক্তের ফোঁটার প্রতিশোধ নেওয়া হবে: শাহবাজ শরিফ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি সীমান্তে পাকিস্তানের তীব্র গোলাবর্ষণ, ভারতীয় সেনা নিহত মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া পাকিস্তানের ভয়ে ভারতের অম্রিতসারে ফের ব্ল্যাকআউট, ঘরে থাকার নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করতে চান ফরাসি মন্ত্রী ইত্তেফাকুল মাদারিসিল ক্বাওমিয়্যাহ কেরানীগঞ্জের শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাপলা ও পিলখানার বিচার দাবিতে জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন সহিংসতায় নিহত ১৬

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী এ খবর জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

এই নির্বাচনে সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স জ্বালিয়ে দেওয়া, ব্যালট পেপার পানিতে ফেলে দেওয়া ও হতাহতের ঘটনায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীদলগুলোর বিরুদ্ধেও সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে।

নির্বাচনী সহিংসতায় ছয় জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে রাজ্য পুলিশ। তারা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন জন তৃণমূলের, দুই জন সিপিএম ও এক জন ঝাড়খণ্ড দলের কর্মী।

এর বাইরে এ দিন নিহত অন্যান্যদের সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি পুলিশের।

সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নদিয়া জেলার শান্তিপুরের বাবলা গ্রামে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে বুথের মধ্যেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। নন্দীগ্রামে বিরোধী পক্ষের গুলিতে সিপিএমের দুই কর্মী নিহত হন। তৃণমূলের ‘বাইকবাহিনীকে’ প্রতিরোধ করতে গিয়ে তারা নিহত হন বলে অভিযোগ।

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডিতে তাদের দুই সমর্থক নিহত হয়েছেন বলে দাবি রাজ্য বিজেপির। এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বিকেলেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্রোপাধ্যায় তার দলের নিহত ছয় জনের তালিকা দেন এবং রাতে তা আরও বাড়ে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ব্যাপক সহিংসতার পর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা, কোথাও পুননির্বাচন করা হবে কি না তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানা গেছে।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, রোববার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন পাশে আছে এই আশ্বাস দিয়ে সবাইকে নিরাপদে ভোট দিতে বলেছিলেন।

কিন্ত নির্বাচনে সহিংসতা ও প্রাণহানির পর রাজ্য সরকারের একটি সূত্র ৪৭ হাজার বুথে ভোট হয়েছে জানিয়ে সে তুলনায় সহিংসতার ঘটনা ‘নগণ্য’ বলে দাবি করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে রাজ্যটির পঞ্চায়েত ভোটে সহিংসতায় মোট ২৫ জন নিহত হয়েছিলেন।

৭১ বছরের রেলমন্ত্রীর কোলে জমযপুত্র


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ