সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের বক্তা আমির হামজার বক্তব্য মনগড়া ও অসত্য: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বিআরটিএ নিজ খরচে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করলেন তামিম ইকবাল ফজলুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদ ডাকসু নেতাদের

নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজীপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত ২৫ মে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মামলার বাদী ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন- ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পশু হাসপাতাল রোডের জামাল উদ্দিনের ছেলে ও সিরাজদিখান থানার এসআই আসাদুজ্জামান এবং তার মা আনোয়ারা ইয়াসমিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই এসআই আসাদুজ্জামানের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে গাজীপুর মহানগরীর চতর এলাকার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জাহাঙ্গীর তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ১১ লাখ টাকা খরচ করে টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র মেয়ে জামাতা এসআই আসাদুজ্জামানকে দেন। পরবর্তীতে আসাদুজ্জামান বাড়ি করার জন্য জমি দাবি করলে জাহাঙ্গীর ১৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা খরচ করে গাজীপুরের নীলেরপাড়া এলাকায় জমি কিনে দেন। পরবর্তী সময়ে এসআই আসাদুজ্জামান ফ্ল্যাট ক্রয় করার জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় আসাদুজ্জামান তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।

এ নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আপস মীমাংসার চেষ্টা করার সময় আসাদুজ্জামান তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে রেখে ২য় বিয়ের হুমকি দিয়ে চলে যান।

পরবর্তীতে গোপনে শিলা নামের এক মেয়েকে আসাদুজ্জামান বিয়ে করেন। ওই সংসারেও একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে তার। বিষয়টি জানার পর তাহমিনা আক্তার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানায় মামলা করতে গেলে আসামি পুলিশের এসআই হওয়ায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুরের নারী ও শিশু র্নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসাদুজ্জামান ও তার বাবা-মা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি তদন্ত করে গত ২১ মে গাজীপুরের সিনিয়র সহকারী জজ ইসমত জিহান আসাদুজ্জমান ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ