বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২ তরুণ নিহত মারকাযুল উলূম খুলনা'র ২০ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শুক্রবার  অনশনরত তারেকের পক্ষে সংহতি বিএনপি’র গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ ‘উত্তেজনা কমাতে’ ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনায় বসছে পাক-আফগান জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠি দেওয়ায় কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ৭২র সংবিধান বাতিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রেরণা: ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট প্রকাশিত হয়েছে আবুল ফাতাহ কাসেমী’র নতুন বই ‘ইসলাম ও কাদিয়ানি ধর্ম’  অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণার উপর গণভোট দিতে হবে: খেলাফত মজলিস আবারও আফগানিস্তানকে যুদ্ধের হুমকি পাকিস্তানের

নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজীপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত ২৫ মে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মামলার বাদী ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন- ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পশু হাসপাতাল রোডের জামাল উদ্দিনের ছেলে ও সিরাজদিখান থানার এসআই আসাদুজ্জামান এবং তার মা আনোয়ারা ইয়াসমিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই এসআই আসাদুজ্জামানের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে গাজীপুর মহানগরীর চতর এলাকার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জাহাঙ্গীর তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ১১ লাখ টাকা খরচ করে টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র মেয়ে জামাতা এসআই আসাদুজ্জামানকে দেন। পরবর্তীতে আসাদুজ্জামান বাড়ি করার জন্য জমি দাবি করলে জাহাঙ্গীর ১৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা খরচ করে গাজীপুরের নীলেরপাড়া এলাকায় জমি কিনে দেন। পরবর্তী সময়ে এসআই আসাদুজ্জামান ফ্ল্যাট ক্রয় করার জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় আসাদুজ্জামান তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।

এ নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আপস মীমাংসার চেষ্টা করার সময় আসাদুজ্জামান তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে রেখে ২য় বিয়ের হুমকি দিয়ে চলে যান।

পরবর্তীতে গোপনে শিলা নামের এক মেয়েকে আসাদুজ্জামান বিয়ে করেন। ওই সংসারেও একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে তার। বিষয়টি জানার পর তাহমিনা আক্তার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানায় মামলা করতে গেলে আসামি পুলিশের এসআই হওয়ায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুরের নারী ও শিশু র্নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসাদুজ্জামান ও তার বাবা-মা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি তদন্ত করে গত ২১ মে গাজীপুরের সিনিয়র সহকারী জজ ইসমত জিহান আসাদুজ্জমান ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ