বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রতিটি রক্তের ফোঁটার প্রতিশোধ নেওয়া হবে: শাহবাজ শরিফ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি সীমান্তে পাকিস্তানের তীব্র গোলাবর্ষণ, ভারতীয় সেনা নিহত মানসিক অস্থিরতা দূর করার দোয়া পাকিস্তানের ভয়ে ভারতের অম্রিতসারে ফের ব্ল্যাকআউট, ঘরে থাকার নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করতে চান ফরাসি মন্ত্রী ইত্তেফাকুল মাদারিসিল ক্বাওমিয়্যাহ কেরানীগঞ্জের শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাপলা ও পিলখানার বিচার দাবিতে জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ

নাম মুসলিম হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে মার্কিন নাগরিককে হেনস্থা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

লন্ডন সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পর নিউ ইয়র্কের একটি বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল একজন মার্কিন মুসলিম সুরকারকে। মুসলিমদের নামের সঙ্গে তার নামের মিল থাকায় তাকে বিমানবন্দরে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

তার ল্যাগেজ, ল্যাপটপ সব তার কাছ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হয় নি। ওই সুরকারের নাম হলো মোহাম্মদ ফাইরোজ। তিনি তার সময়কালের জনগণের মধ্যে প্রচ- জনপ্রিয়। তিনি নিজেই তার ওপর ঘটে যাওয়া কাহিনী বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। মোহাম্মদ ফাইরোজ লন্ডনে একটি অর্কেস্ট্রা রেকর্ড করতে গিয়েছিলেন। তারপর হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে ফেলেন অভিবাসন বিষয়ক একজন কর্মকর্তা। বলা হয়, তাকে আরো স্ক্রিনিং করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো কারণ জানানো হয় নি। শুধু বলা হয়েছে, তার নামটি ‘সুপার কমন’। অর্থাৎ মুসলিমদের নামের সঙ্গে খুব বেশি মিলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী মোহাম্মদ ফাইরোজ বলেন, কোনো ক্লু ছাড়াই আগ্রাসী ভঙ্গিতে কর্মকর্তারা আমাকে ঘেরাও করে ফেলেন। তারা নিয়ে যান একটি কক্ষে। সেখানে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসতে বাধ্য করা হয় আমাকে। এতে বসলে কারো পক্ষে কোনো গান শোণা বা বই পড়ার সক্ষমতা থাকে না। সেখানে আমাকে চার ঘন্টা আটকে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ একেবারে ও পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যে কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রধান ৭টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। বিশ্লেষকরা একে মুসলিম বিরোধী আদেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আদালত তার সেই আদেশ স্থগিত করে দেয়ার পর তিনি আবার নতুন আদেশ দেন। তাতে আগের তালিকা থেকে শুধু ইরাককে বাদ রেখে ৬টি দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরও পরিণতি হয় আগেরটির মতো। তার এমন আদেশের সমালোচনা করেছেন সমালোচকরা। একে ইসলামবিরোধী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, ইসলামী দেশগুলোর বিরুদ্ধে এমন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য নির্বাহী আদেশ, যা ইস্যু করেছে হোয়াইট হাউজ তাতে সীমান্ত পুলিশ অতিরিক্ত ক্ষমতা পাবে। মোহাম্মদ ফাইরোজও তেমনটা মনে করেন। তাকে যখন বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয় তিনি তখন মনে করেছিলেন তিনি মুসলিম হওয়ার কারণে তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে। তাকে ক্রিমিনাল হিসেবে ভাবতে থাকে কর্মকর্তারা। তিনি এর বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা অভিযোগ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছিল, যেন আমরা ক্রিমিনা। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারলে আমরা দোষী।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ