মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মুসলিম হওয়ায় হাত ভেঙে দেয়া হলো শিশুটির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

img_20161014_114107_236আওয়ার ইসলাম: মুসলিম পরিচয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে যাওয়ার পথে পাকিস্তানি এক শিশু নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দেশটির নর্থ ক্যারোলাইনার একটি স্কুলবাসে সাত বছর বয়সী শিশুটিকে তার পাঁচ সহপাঠী গালিগালাজ ও মারধর করে। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা ভয়ে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা’ ছাড়বেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম আবদুল উসমানি।

 

তার বাবা জিসান উল হাসান উসমানির বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার কেরিতে অবস্থিত ওয়েদারস্টোন এলিমেন্টারি স্কুল থেকে ফেরার পথে শিশুটি নির্যাতনের শিকার হয়। মারার সময় উসমানির সহপাঠীরা তাকে মুসলমান ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে উল্লেখ করে।

 

ওই ঘটনার পরে জিসান ছেলের একটি ছবি তাঁর ফেসবুকে আপলোড করেন। সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকায় স্বাগতম।’ ছবিতে আবদুল উসমানির হাত একটি স্লিংয়ে ঝোলানো ছিল।

 

সংবাদমাধ্যম বাজফিডের কাছে শিশুটির বাবা জিসান বলেন, ‘সে (আবদুল উসমানি) মাত্র সাত বছর বয়সের শিশু এবং একটি স্কুলে গ্রেড ওয়ানের ছাত্র। এটুকু শিশুকে স্কুলের বাসে মুসলমান বলে মারা হলো।’ঘটনার বর্ণনায় জিসান বলেন, ‘হামলাকারীরাও সবাই শিশু। তবুও এতটুকু শিশুদের মনে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পাঁচ শিশু মিলে প্রথমে আমার সন্তানকে গালিগালাজ করে। এরপর দুজন তার হাত পেছন থেকে ধরে রাখে। এক শিশু আবদুলের মুখে ঘুষি মারে। একই সময়ে অপর দুই শিশু তাকে আক্রমণ করে এবং লাথি মারে। এভাবে সহপাঠীরা আবদুলকে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত মারতে থাকে।’

এ ঘটনায় আবদুলের হাত মচকে গেছে এবং সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বলেও জানান জিসান।

জিসান জানান, সাম্প্রতিক ঘটনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈষম্যের দীর্ঘ ইতিহাস মিলিয়ে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী তিন সন্তান নিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।ঘটনার পর ওয়েক কান্ট্রি পাবলিক স্কুল সিস্টেমের মুখপাত্র লিসা লুটেন জানিয়েছেন, এ বিষয়টি নিয়ে স্কুলে অভিযোগ জানিয়েছে নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার।অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের অধ্যক্ষ খুব দ্রুতই তদন্ত শুরু করবেন।

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ