রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

‘তোমাকেও খাদিজার মতো কোপানো হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

fajilatunnesaআওয়ার ইসলাম: শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ফজিলাতুন্নেসাকে মোবাইলে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টে  বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ফজিলাতুন্নেসা যখন তার সহপাঠীদের নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন তার মায়ের মোবাইলে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ম্যাসেজ আসে।

তাতে ফজিলাতুন্নেসাকে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেয়া হয়। না হলে তাকেও খাদিজার মতো কোপানো হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।

এ হুমকির পর থেকে ফজিলাতুন্নেসার পরিবারের লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

খবর জানাজানির পর মহিলা কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভয় ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ফজিলাতুন্নেছার মায়ের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকে তার মা আতঙ্কে কান্নাকাটি করছেন এবং মেয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

তবে ফজিলাতুন্নেসা বলেন, হুমকি-ধামকি দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বদরুলের ফাঁসির আগ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম।

এ সময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান।

পরে খাদিজার সহপাঠী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

এদিকে, খাদিজার উপর হামলার কথা স্বীকার করে গতকাল বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বদরুল। সে ছাতক উপজেলার মুনিরজ্ঞাতি গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ