বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৫


মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘টাওয়ার ২২’ কী? কেন এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে সিরিয়ার সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও কমপক্ষে ৩৪ জন আহত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

জর্ডানের এক সরকারি মুখপাত্র দাবি করেছেন, হামলাটি ঘটেছে সিরিয়ার আল-তানফ ঘাঁটিতে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার (২৮ জানুয়ারি) যে সামরিক ছাউনিটিতে আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে তা ‘টাওয়ার ২২’ নামে পরিচিত।এর অবস্থান জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলের শেষ প্রান্তে ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তে। স্থানটির কৌশলগত অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ।

জর্ডানে নতুন এই মার্কিন সামরিক ঘাঁটির বিষয়ে তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি । তবে এখানে মার্কিন সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ৩৫০ জন সৈন্য থাকার খবর পাওয়া গেছে। নিয়মিত সামরিক রসদের যোগান পেত এই ঘাঁটি। তাই এর গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা করাই যায়।

'টাওয়ার ২২' এর কাছেই সীমান্তের অপর পাশে সিরিয়ায় আল তানফ গ্যারিসনের অবস্থান। এখানেও অল্প সংখ্যক মার্কিন সেনা আছে। আইএস দমনে তানফ প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর গড়ে ওঠা প্রতিরোধে মার্কিন কৌশল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই ঘাঁটি।

তানফে থাকা মার্কিন সেনাদের সম্ভাব্য যে কোনো প্রয়োজনে ‘টাওয়ার ২২’ থেকে সাহায্য দেওয়া যায়। পাশাপাশি ওই এলাকায় ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনীগুলোকে প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে এই ঘাঁটি। আইএসের কার্যক্রমের ওপরও নজর রাখতে পারে সেখান থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সামরিক বাহিনীগুলোকে যে সহায়তা দেয় তার একটি বড় অংশ পায় জর্ডানের সেনাবাহিনী। জর্ডানে কয়েকশ মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষক আছে। মধ্যপ্রাচ্যের যে অল্প কয়েকটি মিত্র দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সারা বছর বিস্তৃত সামরিক মহড়া ও অনুশীলন করে জর্ডান তার অন্যতম।

২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়াশিংটন জর্ডানের বিস্তৃত নজরদারি পদ্ধতি গড়ে তোলার জন্য কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে। সিরিয়া ও ইরাক থেকে জঙ্গিদের জর্ডানে অনুপ্রবেশ রোধ করতে গড়ে তোলা এই পদ্ধতি ‘বর্ডার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

তবে ‘টাওয়ার ২২’ এ যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের অস্ত্র মজুদ করে রেখেছে, ঘাঁটিটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন, কী কারণে সেখানে থাকা মার্কিন বাহিনী এই বিপর্যয়ের শিকার হল, তা পরিষ্কার হয়নি।

ইরাকের কট্টরপন্থি একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক’ জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তের এই ঘাঁটিসহ তিনটি ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এ্রনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ