রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জমিয়ত আজ যা বলে কালও তাই বলে: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপিও আ.লীগের মতো হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছে: নুর বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির’ রাজনীতি বন্ধ করতে বলল হেফাজত পাথর মেরে হত্যার নিন্দা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান জমিয়তের ইয়ামিনকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ‘চাঁদাবাজিতে আতঙ্কগ্রস্ত জাতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন’ মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’

জামালপুরে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত কয়েকদিনে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও মুন্দিপাড়া ব্রিজের মাথা থেকে মাটি সড়ে যাওয়ায় দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রিজটি।

ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

জানা যায়, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে বেড়েছে নদ নদীর পানি। তীব্র স্রোতের কারণে বেড়েছে ভাঙন। প্রতিদিন ভাঙছে বসতভিটা, ফসলি জমি।

নিলাক্ষিয়া, মেরুরচর ও সাধুরপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। মেরুরচর ইউনিয়নের নতুন মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া, সুন্দর আলী, জুয়েল মিয়া, ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী এলাকার হাসর আলীসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ঘুঘরাকান্দি বাজার মসজিদটি ভেঙে গেছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষগুলো।

অনেকেই ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত নদীভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জুয়েল মিয়া বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবার তীব্র ভাঙনে বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে।

এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অতি দরিদ্র্র কৃষক। তাদের অনেকের নতুন করে ঘর তোলার সামর্থ্য নেই।
 
ঘুঘরাকান্দি এলাকার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ বলেন, তাদের সবাই কমবেশি ভাঙনের শিকার। ভাঙনে সহায় সম্বল বলতে যা ছিল, তার সব শেষ হয়ে গেছে। ফসলি জমিও নদীতে চলে যাচ্ছে। বারবার আবেদন করা হলেও ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।

মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নদী ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।  

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, মুন্দিপাড়া ব্রিজটির এপ্রোচ ধসে যাওয়ার খবর পেয়েই সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

চলাচলের জন্য আরেকটি সাকোর ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে নদীভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ