বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি

কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। কুয়াকাটা পৌর ভবন থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রধান সড়কে প্রায় চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এই উচ্ছেদ অভিযান দুই দিন চলবে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক কৌশিক আহমেদ। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুয়াকাটা ইউনিট, মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে নোটিশ ও মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেউ কেউ সরিয়ে নিলেও অনেকেই পাল্টা আল্টিমেটাম দেন প্রশাসনকে। গতকাল কথা থাকলেও আজ মঙ্গলবার এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনা করতে গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়তে হয়।

কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা মোট চার শতাধিকের অধিক অবৈধ দখলদারকে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য বলেছি। তবে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ায় নির্বাহী মাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে উচ্ছেদ করছি।

ইএনও রবিউল ইসলাম আরও বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেখানে সেখানে দোকানপাট, খাবার হোটেল ও অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে সরকারি জমি এবং সড়ক দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছিল। সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এসব স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে ট‍্যুরিজম পার্ক এর পুর্ব পাশে বসানো হয়েছে। সরকারি ভূমিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি। বিশেষ করে সড়কের পাশের ভূমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সড়কের দুপাশের সৌন্দর্য নষ্ট করে এমন জবরদখল চলতে দেয়া যায় না। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ