মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ ট্রান্সজেন্ডার কর্তৃক শিক্ষকদের হত্যার হুমকি, চবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ সংস্কার না করে পূর্বের নিয়মে নির্বাচন হতে পারে না: পীর সাহেব চরমোনাই সিলেটে ২ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করল বিজিবি জুলাই সনদ সংবিধানের ওপর রাখলে খারাপ নজির হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ মুরাদনগরে জমিয়তের ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ গাজা দখল পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের

বদরের বিজয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নওমুসলিম মুহাম্মাদ রাজ

ইসলামের ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র লড়াই হলো বদর যুদ্ধ। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধ ছিল অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় ও ইনসাফের লড়াই।

বদর যুদ্ধে আল্লাহ তা’য়ালা অসম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীকে বিজয় দান করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১২৩)

২য় হিজরির ১৭ রমজানেরে এ যুদ্ধটি মুসলিমদের অস্তিত্বের সংকট থেকে মুক্তি দিয়ে অমিত সম্ভাবনার দুয়ারে পৌঁছে দেয়। ঘোরতর এ যুদ্ধে কাফিরদের পক্ষে ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বন্দী হয়। আবু জাহেল, উতবা ইবনে রাবিয়া, শায়বা ইবনে রাবিয়া, ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা, নদর বিন হারেস ও উমাইয়া বিন খালাফের মতো কুরাইশ শীর্ষস্থানীয় নেতারা কাপুরুষের মতো মৃত্যুবরণ করে। অপরদিকে মাত্র মুসলিম পক্ষে ৬ জন মুহাজির ও ৮ জন আনসারসহ ১৪ জন শহীদ হন।

মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ক্ষুদ্র বাহিনীর হাতে সেদিন পরাজিত হয়েছিল মক্কার একহাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী। অথচ মুসলিম বাহিনীর জনবল, যুদ্ধ উপকরণ ছিল একেবারে সীমীত। সে সময়ের তুলনায় আজ মুসলমানদের শক্তি সামর্থ ও জনসংখ্যা অনেক বেশি। বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে যা দরকার সব আল্লাহ নেয়াতম স্বরূপ মুসলিম বিশ্বেকে দিয়েছেন।

তেল, স্বর্ন, রাবার থেকে শুরু করে ভৌগোলিকভাবে নৌপথ, আকাশপথ ও স্থলপথ সহ সকল কিছু মুসলিমদের হাতের মুঠোয়। বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা এতটাই লাজুক যে মরণঘাতি অস্ত্র বা ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয় মুসলমানের শরীরে । কারও একটু টু শব্দ পর্যন্ত করার ক্ষমতা নেই।

বদর প্রান্তরে মুসলমানদের মাঝে যে ঈমানী শক্তি, ঐক্য ও মমত্ববোধ, একনিষ্ঠতা ছিল, সাহাবাগণ যেভাবে ছিলেন কুফুর শিরকের বিরুদ্ধে আপোসহীন এসবের কিছুই তো আজ মুসলিম বিশ্বে নেই।

আছে শুধু দ্বন্ধ-কলহ, ক্ষমতার লোভ, বিলাসিতা ইত্যাদি। বিশ্বের কোনো একটি দেশে ইসালামপন্থীদের মধ্যেও সুদৃঢ় ঐক্য নেই। আর একারণেই আজ মুসলিমবিশ্বের এই অবস্থা।

আল্লাহর সাহায্যও মদদ থেকে আমরা বঞ্চিত। যদি আমরা বদরের বিজয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং সাহাবায়ে কেরামের ঈমানী চেতনায় যদি উজ্জীবিত হতে পারি, তাহলে আজও পৃথিবীতে ইসলামের পতাকা পতপত কর উড়বে। আমাদের সম্মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, মুসলমানদের এই দুর্দশা দূর হবে।

পৃথিবীর কোন তাগুতী শক্তি মুসলমানদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। তাই মুসলিম শাসকদের উচিৎ বদরের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে মুসলিম মিল্লাতকে জালিমের কবল থেকে উদ্ধার করে আল্লাহর জমিনে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে আত্ননিয়োগ করা।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ