বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামোফোবিয়ায় ইউরোপকে লেবানন থেকে শিক্ষা নিতে বললেন পোপ  গুমের দুই মামলায় হাসিনার নতুন আইনজীবী সেই আমির হোসেন ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ, বাংলাদেশ হবে ইসলামের: পীর সাহেব চরমোনাই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে শায়খে চরমোনাই ‘আট দলই এবারের নির্বাচনের বড় চমক’ অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ চায় জমিয়ত অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে লিভ টু আপিলের আদেশ বৃহস্পতিবার অশ্লীল গালাগালি ও বাজে মন্তব্য ইসলামি দলের কর্মীদের শোভা পায় না দাওয়াতুল হকের ৩০তম মারকাজি ইজতেমা শনিবার এভারকেয়ারের পাশে উড়বে সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার, বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ

এবার ঢাকামুখী মানুষের স্রোত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ভোর থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকামুখী মানুষ পারাপারের ব্যস্ততা। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।

কর্মস্থলমুখী মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া থাকলেও পাশাপাশি রয়েছে দ্রুততম সময়ে স্বজনদের রেখে আসার বেদনা।

প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে খুলনায় গিয়েছিলেন গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবার ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। অনেকদিন পর গিয়ে দুইদিনেই ফিরে আসা কষ্টদায়ক। বাড়িতে যেতে না যেতেই ফেরার সময় হয়ে যায়। তাই ঈদের আনন্দ থাকলেও কিছুটা খারাপও লাগছে।

রাজিব নামের এক ব্যক্তি ঢাকাতেই ঈদ করেছেন। তবে দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধের সময় গ্রামের বাড়িতে কাটাবেন বলে বৃহস্পতিবার ভোরেই রওনা হয়েছেন কুষ্টিয়ার উদ্দেশে। তবে তিনি আদৌ দুই সপ্তাহ পর ফিরতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে তার মনে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকামুখী মানুষের চাপ সামলাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ ও ১৯ ফেরি চালু রাখা হয়েছে।

ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাম মিয়া জানান, ঈদে শেষ কর্মস্থল ফেরা মানুষের যত চাপই হোক বিআইডব্লিউটিসি প্রস্তত রয়েছে। সবগুলো ফেরি সার্ভিসে নিয়োজিত আছে। ঈদে সেবা দেওয়ার জন্য কাউকে ছুটি দেওয়া হয়নি। আমরা সর্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।

সারা দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিধিনিষেধেও বিশেষ ব্যবস্থায় রপ্তানিমুখী পোশাক ও শিল্প কারখানা খোলা ছিল। এরপর ঈদুল আজহার কারণে ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়।

গত ১৩ জুলাই জারি করা এক প্রজ্ঞপনে লকডাউন শিথিলের এ নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

একই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ