রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


মেয়ের সাক্ষাতকারকে বিকৃত ও প্রসঙ্গের বাইরে এনে প্রকাশ করা হয়েছে: মালালার বাবা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: মেয়ের সাক্ষাতকারকে ‘বিকৃত এবং প্রসঙ্গের বাইরে’ এনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোভেলজয়ী পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই।

গতকাল শনিবার (৫ জুন) পাকিস্তানের পেশোয়ারের প্রভাবশালী ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি সাহাবুদ্দিন টুইটারে মালালার বাবাকে ট্যাগ করে বিষয়টি ব্যাখ্যা চাইলে একথা বলেন তিনি।

ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইলখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’ এর চলতি সংখ্যার প্রচ্ছদে মালালার ছবি ও একটি সাক্ষাৎকার স্থান পেয়েছে। সেখানে বিয়ে প্রসঙ্গে মালালা ইউসুফজাই বলেছেন, ‘আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন সবাই বিয়ে করে? জীবনসঙ্গীকে বেছে নিতে হলে, কাগজে সই করার দরকার কী? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে।’ মালালার এ বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পাকিস্তানের অনেকেই তার সমালোচনা করেছেন।

আবার অনেকে বিয়ের মত সামাজিক প্রথা নিয়ে এ জাতীয় বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছেন পাকিস্তানের কয়েকজন শীর্ষ আলেম।

এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক আজকাল পত্রিকায় এই বিষয়ে সে দেশের নাগরিকদের সমালোচনার চিত্র তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বলছে, বর্তমানে টুইটারে ‘টপ ট্রেন্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে মালালার বক্তব্য।

পাকিস্তানের বিখ্যাত টুইটার সেলিব্রেটি মাওলানা আবু ত্বোহা সাইফুল্লাহ মালালা ইউসুফজাইয়ের বক্তব্যকে চরম ঘৃণা প্রকাশ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘মালালার মতো একজন নোবেলজয়ী কিশোরী কিভাবে সামাজিক রীতিনীতির বাইরে গিয়ে এমন কথা বলতে পারে তা আমরা বুঝতে পারিনা?’

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের নারীদেরও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিশেষত পাকিস্তানের ফেসবুক ব্যবহারকারী একাধিক নারী মালালার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

কুমিরা আনসারী নামের একজন মহিলা তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব বিষয়ে মালালা অনেক বেশি জানে। তারপরও এমন বক্তব্য চরম অহঙ্কারের বহির্প্রকাশ।’

অন্য একজন নারী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘২০১২ সালে লাগা তালেবানের গুলির প্রভাব ২০২১ সালে প্রকাশিত হচ্ছে।’

এদিকে মালালা ইউসুফজাইয়ের বক্তব্যকে চরম উদ্ধত্যপূর্ণ ও অহংকারপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার মুফতি তারিক মাসুদ। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রভাবশালী একাধিক আলেম মালালার বক্তব্যকে ইসলামবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ