শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

নবজাতকের মস্তিষ্কক্ষয়রোধে নবীজির সা. সুন্নাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম

নবীজির সা. বহু সুন্নাতের মধ্যে বিজ্ঞান ইতিমধ্যে যথার্থতা খুঁজে পেয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে যথার্থতা প্রমাণিত হোক বা না হোক, নবীজির সা. সুন্নাতসমূহ সবসময়ই মানবজাতির জন্য একান্ত অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। প্রত্যেক নবজাতকের জন্য তাহনিক করা তাঁর সা. একটি অন্যতম সুন্নাহ। চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে যে, নবীজির সা. এই সুন্নাহ আমলটি নবজাতকের মস্তিষ্কক্ষয়রোধে অত্যন্ত কার্যকর।

তাহনিক কী?
রাসুলুল্লাহ সা. নবজাতকের জন্য তাহনিক করাটা আবশ্যক করে দিয়েছেন। তাহনিক হলো, খেজুর চিবিয়ে নবজাতকের মুখের তালুতে আলতোভাবে মালিশ করা এবং তার মুখ খুলে দেওয়া, যাতে তার পেটে এর কিছু অংশ প্রবেশ করে।

নবীজির সা. পর থেকে আজ প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর পর বিজ্ঞান প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে, তাহনিক নবজাতকের মস্তিষ্কক্ষয় রোধ করে। বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, অপরিপক্ক নবজাতকের মুখে জেলের মতো এক ধরনের চিনির ডোজ দেওয়া হয় যা তাকে মস্তিষ্কক্ষয় থেকে সুরক্ষা দান করে।

লো ব্লাড সুগার বা হাইপোগ্লাইসিমিয়া প্রতি 10 জন অপরিপক্ক নবজাতকের মধ্যে অন্তত ১ জনকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করে। যদি তৎক্ষনাৎ এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি একটি স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এপর্যন্ত মোট ২৪২ জন নবজাতককে জেল থেরাপি দেওয়া হয়েছে; এবং এর ফলস্বরূপ চিকিৎসকগণ মন্তব্য করেছেন, নবজাতকের মস্তিষ্কক্ষয়রোধে এটিই এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। নিউজিল্যান্ডের বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক পরিচালিত এই সফল পরীক্ষামূলক থেরাপি ও এ ব্যাপারে তাদের মন্তব্য বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল দি ল্যানসেট-এ প্রকাশিত হয়েছে।

অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জেন ও তা সহকর্মীরা বলেছেন, প্রতিটি নবজাতকের জন্য এই ডেক্সট্রোজ জেল থেরাপিতে খরচ হয় মাত্র ১ ডলার বা তার চেয়ে কিছু বেশি যা ড্রিপারের মাধ্যমে গ্লুকোজ দেওয়ার চেয়ে অনেক সহজ। এবং বর্তমানে লো ব্লাড সুগারের চিকিৎসায় চিকিৎসকগণ এই জেল থেরাপির প্রতিই বেশি ঝুঁকছেন।

লন্ডনের বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ নেইল মারলো বলেছেন, কার্যকারিতা ও সহজলভ্যতার বিচারে নবজাতকের হাইপোগ্লাইসিমিয়ার চিকিৎসায় গ্লুকোজ সেবনের ব্যবহারের চেয়ে ডেক্সট্রোজ জেল থেরাপির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে শক্তিশালি প্রমাণ আছে।

বিশেষজ্ঞগণ আরও বলছেন, ডেক্সট্রোজ জেল থেরাপির মতো এই সাশ্রয়ী চিকিৎসা লো ব্লাড সুগারের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নবজাতকের সংখ্যা অনেক কমিয়ে দেবে।

আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের আবিষ্কৃত নবজাতকের জন্য এই ডেক্সট্রোজ জেল থেরাপি নবীজির সা. শেখানো তাহনিকের সাথে হুবহু মিলে যায়। বিজ্ঞান এভাবেইে একে একে নবীজির সা. প্রতিটি সুন্নাহ আমলই সমর্থন করে নিচ্ছে। সূত্র: দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ