বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির

মসজিদ ধ্বংস করতে এসে ইসলাম গ্রহণ করলেন এক মার্কিন সৈন্য!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর আলফারুক।।

আল্লাহ তাআলা কখন কাকে কীভাবে হেদায়েদ দান করবেন, তা কেউ জানে না। রিচার্ড মিকিনি আমেরিকার নৌবাহিনীর অফিসার। সারা জীবন তিনি মুসলমান প্রতি ঘৃণা লালন করে আসছেন। মুসলমানদের ধ্বংস কামনাই ছিলো তার একমাত্র আরাধ্য।

সেনা বাহিনীতে থাকাকালীন মানুষকে নির্যাতন করে হত্যা করা ছিলো তার নেশা। প্রত্যেক হত্যার পরে তিনি খুনের স্মৃতি ধরে রাখতে তার শরীরে ট্যাটু তৈরি করতেন।

রিচার্ড মিকিনি যখন সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে আমেরিকায় ফিরে আসেন, তখন তিনি মানসিকভাবে খুবই বিচলিত থাকতেন। মানসিক স্থিরতার জন্য এক স্কলারের শরণাপন্ন হলে তার কুমন্ত্রণায় রিচার্ডের ইসলাম বিদ্বেষ চরম মাত্রা লাভ করে।

রিচার্ড একদিন  এক মুসলিম সেন্টারে ইসলাম বিদ্বেষ বিষয়ক কিছু প্রশ্ন নিয়ে আসেন এবং তিনি ধারণা করেছিলেন যে, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কেউ দিতে পারবে না। ফলে তার জন্য মুসলিম বিদ্বেষী হওয়ার যৌক্তিক কারণও তৈরি হবে। কিন্তু মুসলিম সেন্টারের ম্যানেজার তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তাকে কুরআন মাজিদের একটি ইংরেজি অনুবাদ দিয়ে এটি শেষ করে আসতে বলেন।

কুরআন পাঠের ভিতর দিয়েই মূলত তার ইসলাম গ্রহণের পথ সুপ্রশস্ত হয়। এরপর তিনি তার বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মুসজিদে আসতেন। তার মতো চরম মুসলিম বিদ্বেষীর সাথে মুসলমানদের সদাচরণ এবং তার সকল প্রশ্নের যথাযত উত্তর পেয়ে তিনি ইসলামের প্রতি ঝুকে পড়েন। মসজিদে যাতায়াতের আট সপ্তাহ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।

আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রথম জীবনে আমি মুসলিম বিদ্বেষী ছিলাম না। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে আমার মধ্যে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। আমি মুসলমানদের মসজিদ ধ্বংস করাকে সওয়াবের কাজ মনে করতাম। অথচ সেই মসজিদ এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় স্থান। সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ