বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ 'বাঙ্গরাবাজার থানা’ উপজেলা হলে খুলে যাবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’

ভারতের উত্তরাখণ্ডের সব স্টেশন থেকে উর্দু মুছে ফেলছে বিজেপি সরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের উত্তরাখণ্ডে কোনও স্টেশনের সাইনবোর্ডে আর উর্দু লেখা হবে না। যা রয়েছেতা-ও মুছে ফেলা হবে।তার বদলে জায়গা করে নেবে সংস্কৃত।

জানা যায়, ভারতের রেলমন্ত্রণালয় এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে এ বার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্টেশনে হিন্দি, ইংরেজি এবং সংস্কৃতে লেখা বোর্ডই চোখে পড়বে।

রেলের ম্যানুয়াল অনুযায়ী, হিন্দি, ইংরেজি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দ্বিতীয় ভাষাতেই সাইনবোর্ড লেখা উচিত। উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ভাষা যেহেতু সংস্কৃত, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

কিন্তু এত বছর পর ভাষাপরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ল কেন? নর্দার্ন রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার জানান, উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ভাষা উর্দু। উত্তরাখণ্ড যেহেতু উত্তরপ্রদেশের অংশ ছিল, তাই এত দিন তা-ই ব্যবহার করা হত। সম্প্রতি এক নেতা ভুল ধরিয়ে দেন। তাই ভুল সংশোধনে করার তোড়জোড় চলছে।

এ ব্যাপারে সমস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেহরাদূন, রুরকি এবং হরিদ্বারের হাত ধরেই এই বদল শুরু হবে বলে খবর। তবে এই কাজ সহজ হবে না বলে মত স্থানীয়দের। কারণ সংস্কৃতে লিখতে গেলে সমস্ত জায়গার নামের পিছনে একটি করে ‘ম’ যুক্ত হবে। সে ক্ষেত্রে দেহরাদূন হয়ে যাবে দেহরাদূনম, হরিদ্বার হয়ে যাবে হরিদ্বারম। এতে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে বলে আশঙ্কা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সংস্কৃত ভারতের উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পায়। সেইসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপিররমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। সংস্কৃতকে জনপ্রিয়করে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের দেখাদেখি পরে হিমাচলপ্রদেশও একই পথে হাঁটে। এ বছর সংস্কৃতকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে তারা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ