সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ।। ৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদরাসা ছাত্র হাফেজ মনসুরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের জন্য দোয়ার আহ্বান পীর সাহেব দেওনার ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত, মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল মানবতা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে: ইসলামী ঐক্যজোট আলমডাঙ্গায় পলাশি দিবসের আলোচনাসভা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চায় ইসরায়েল: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আন্দোলনে অচল সরকারি অফিস সচলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: ইসলামী আন্দোলন দলের কর্মীদের নিয়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোথায় থেকে লড়বেন? লন্ডনে জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা

বিষাক্ত মাছির প্রভাবে যে গ্রামের মানুষ, পশু সবাই অন্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এমন একটি গ্রাম। যে গ্রামের মানুষ এবং পশু সকলেও অন্ধ। কিন্তু এর পেছনের রহস্য কী।

গ্রামটির নাম টিলটেপেক। মেক্সিকোর ঘন অরণ্যের মধ্যে ছোট্ট একটি গ্রাম। এই গ্রামেই থাকেন শ’তিনেক জাপোটেক জাতির মানুষ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, এই গ্রামের প্রতিটি মানুষ দৃষ্টিহীন। শুধু তাই নয়, দৃষ্টিহীন গ্রামের পোষ্যরাও!

এ গ্রামেই রয়েছে লাবজুয়েলা নামে একটি গাছ। এটাকে অভিশপ্ত মনে করেন গ্রামবাসীরা। তাদের বিশ্বাস, তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয় ওই লাবজুয়েলা গাছই।

এমনও দাবি করা হয়, এই গ্রামে যেসব বাচ্চা জন্মায় শুরুতে আর পাঁচটা নবজাতকের মতোই সুস্থ-সবল হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে তারা।

কেন ওই গ্রামের মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছেন তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজ্ঞানীরা তদন্ত শুরু করে। লাবজুয়েলা গাছের যে গল্প গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে আছে তা নিয়েও তদন্ত করে তারা। কিন্তু দেখা যায়, ওই গাছের সঙ্গে এদের দৃষ্টিহীনতার কোনো সম্পর্কই নেই!

বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারেন, এই ঘন অরণ্যে ‘ব্ল্যাক ফ্লাই’ নামে বিষাক্ত মাছি রয়েছে। যা টিলটেপেক গ্রামেও প্রচুর সংখ্যায় দেখা যায়। এই বিষাক্ত মাছির কামড়ে জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণেই শিশু থেকে বুড়ো এবং পশুরাও ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।

মেক্সিকো সরকার যখন এই গ্রাম সম্পর্কে জানতে পারে তখন তাদের অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তারা অন্ধত্ব বরণ করলেও গ্রাম ছাড়তে রাজি হননি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ