সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ।। ৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদরাসা ছাত্র হাফেজ মনসুরের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের জন্য দোয়ার আহ্বান পীর সাহেব দেওনার ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত, মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল মানবতা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে: ইসলামী ঐক্যজোট আলমডাঙ্গায় পলাশি দিবসের আলোচনাসভা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি চায় ইসরায়েল: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আন্দোলনে অচল সরকারি অফিস সচলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: ইসলামী আন্দোলন দলের কর্মীদের নিয়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা কে কোথায় থেকে লড়বেন? লন্ডনে জমিয়তের ঈদ পুনর্মিলনী ও কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ সভা

আওলিয়াদের গ্রাম সাতৈরের ঐতিহাসিক নয়গম্বুজ মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আওলিয়া পীর মাশায়েখের বসবাস ছিলো ফরিদপুরের সাতৈর গ্রামে। গ্রামটিতে সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ কর্তৃক ষোল শতকে নির্মিত হয় একটি নয়গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ।

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার উত্তরাংশে সাতৈর গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। ভাটিয়াপাড়া-মধুখালী রেললাইনের ঘোষপুর স্টেশনের নিকবর্তী স্থানে এর অবস্থান।

ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দীন হোসেন শাহ তাঁর পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি সর্ম্পূণভাবে পরিত্যক্ত হয়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। বিশ শতকের শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।

দেওয়ালের গায়ে সিমেন্ট ও বালির আস্তরণ দিয়ে একে লাল রং করা হয়েছে। এর পূর্ব দিকে টিন-আচ্ছাদিত একটি সম্প্রসারিত অংশ যোগ করা হয়েছে। বর্তমানে মসজিদটির চেহারা দেখে একে আর প্রাচীন ইমারত বলে মনে হয় না।

বর্গাকার এই মসজিদের প্রতি দিকের পরিমাপ বাইরের দিক থেকে ১৭.৮ মিটার এবং ভেতরের দিকে ১৩.৮ মিটার। আদিতে পশ্চিম দিক ব্যতীত মসজিদটির বাকি তিন দিকেই তিনটি করে প্রবেশপথ ছিল।

তবে বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথগুলিকে জানালায় রূপান্তর করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলির খিলান ছোট মনে হয়, কারণ মসজিদটির মেঝে আশপাশের ভূমি থেকে প্রায় ০.৬ মিটার নিচু, এই মেঝের প্রায় ০.৭৬ মিটার নিচে ছিল এর আদি মেঝেটি। মসজিদটি নয়টি কন্দাকৃতির গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত।

মসজিদের ভেতরে স্থাপিত পাথরের তৈরি চারটি স্তম্ভ, দেওয়াল এবং দেওয়ালের গায়ে সংলগ্ন মোট ১২টি সংলগ্নস্তম্ভ এই গম্বুজগুলির ভার বহন করছে। গম্বুজ নির্মাণে পেন্ডেন্টিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।

পশ্চিম দেওয়ালে বহুখাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত তিনটি মিহরাব আছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড়।

মসজিদটির উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১৫ মিটার দূরে একটি গভীর কূপ (১.২ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট) রয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে ধাপযুক্ত প্লাটফর্মের উপর স্থাপিত একটি সমাধি, আর পশ্চিমে রয়েছে একটি দিঘি। এ সব স্থাপনাই মসজিদটির সমসাময়িক বলে মনে করা হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ