সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামাতে পেছনের কাতারে একা দাঁড়ানো যাবে কি? আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী ছয় মাসের গর্ভ নষ্ট করার বিধান গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত ক্ষুদ্র ডিএনএ-তে লুকানো বিশাল রহস্য: একেকটি কোষ যেন একেকটি গ্রন্থাগার আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, প্রাণহানি ২০ জনের বেশি বড়লেখায় জমিয়তের কর্মী সম্মেলন বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই: নাহিদ রাজশাহীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রশিক্ষণ মজলিস ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে হিজাব-নিকাব পরে কেন পড়াশোনা করতে পারবে না!’ চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

সরকারী অফিসে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত শুরু (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাব-রেজিস্ট্রার ও তার কার্যালয়ের কিছু কর্মচারীর ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এরপরই এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম। তদন্ত শুরুর পর থেকে সাব-রেজিস্ট্রারসহ অন্যরা ভিডিও প্রচারকারীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, সোহেল রানা যিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি তিনি গত ১৫ আগস্ট নিজ ফেইজবুক প্রফাইল থেকে সাব-রেজিস্ট্রারসহ তার কার্যালয়ের কর্মচারীদের ঘুষ বাণিজ্যের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যে ভিডিওতে সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস ও নকল নবিশ সুমনসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে দলিল গ্রহীতাদের কাছ থেকে সরাসরি ঘুষ নিতে দেখা যায়।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল গ্রহীতাদের কৌশলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়া গেলে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় এখন তদন্তে নেমেছেন জেলা রেজিস্ট্রার। বিষয়টির তদন্ত করছেন খোদ জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম।

জিস্ট্রার বলেন, ‘ভিডিও আমাদের নজরে আসার পর সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।’

ভিডিওটি ফেইসবুকে পোস্ট করার পর তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে দাবি করে সোহেল রানা বলেন, ‘শাহজাদপুরবাসী ভবিষ্যতে যেন ঘুষ বাণিজ্যের শিকার না হন, সেজন্য ভিডিওটি ফেসবুকে দিয়েছি।’

তবে ভিডিও ধারণকারী ও প্রচারকারী সোহেল রানা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী এমনটি দাবি করেন অভিযুক্ত সাব রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস। সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘সোহেল রানার বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও প্রতারণার ১০/১২টি মামলা রয়েছে বলে শুনেছি। আমার অফিসে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও সুবিধা না পেয়ে এ ধরনের ভিডিও প্রচার করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ভিডিও নজরে আসার পর সুষ্ঠু তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম।

https://www.facebook.com/BanglaTribuneOnline/videos/357178308517881/

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ