শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি কারাগারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

জামিলা আকতার নামে এক নারীর দুদকে করা মামলায় তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১-এর বিচারক সফিকুল আলম এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুর রহিম। ওসি আলতাফ হোসেন আগে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন।

তিনি জানান, জমিলা আকতার নামে এক নারীর করা মামলার (মামলা নং ১৫/১৭) নির্ধারিত তারিখ ছিল মঙ্গলবার (১৯ জুন)। ওসি আলতাফ হোসেন মঙ্গলবার হাজির হয়ে জামিন আবদেন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে ২০১৪ সালের ১৮ জুন সকালে ছিন্নি খাইয়ারপাড়ায় মৃত নজির আহম্মদের ছেলে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী ফরিদুল আলমকে হত্যা করে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজি ও ছেলে অহিদুল আলম (রিয়াদ)।

এ ঘটনায় নিহতের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ হোসেন এক লাখ টাকা দাবি করেন। ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ওই বৃদ্ধা এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে আলতাফ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দেন।

কিন্তু ওসি আলতাফ হোসেন নুরজাহানের দায়ের করা এজাহারটি আমলে না নিয়ে উল্টো নিহতের ছেলে মোহাম্মদ তৌহিদুল আলমের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে একটি মামলা নেন, যা কুতুবদিয়া থানার মামলা নম্বর ১৫, জিআর নম্বর ৭৫/১৪। ওই মামলায় নিহতের বৃদ্ধ মা নুরজাহান এবং দুই ভাই ইস্কান্দর মির্জা ও মাহবুব আলমকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় তার ছেলে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল।

এ নিয়ে ইস্কান্দর মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ ও এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ