বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৫ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

ফ্রিজে রাখা ৬ মাসের পুরনো মাংস রমজানে বিক্রি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রায় ছয় মাস আগে ফ্রিজে রাখা মাংস রমজানে চড়া দামে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। আজ শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে এমন ভয়াবহ অপরাধের দায়ে চার মাংস ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ ছাড়া গরু ও খাসির মাংসের ওজন বাড়াতে পানিতে ভিজিয়ে রাখার দায়ে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকার চেয়ে মাংসের দাম বেশি রাখায় আরও সাত দোকানিকে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। এ সময় প্রায় ৩০ মণ পচা মাংস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।

দুপুরে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে নির্বাহী হাকিম ছিলেন সারওয়ার আলম। এ ছাড়া ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসায়ী কাওসার হামিদ, রুবেল শেখ, মো. নাজিম ও মো. হায়দার প্রত্যেককে দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আরও ১১ জনকে নগদ অর্থ জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা অর্থ দিয়ে ছাড়া পান। মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে সোয়া ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম বলেন, ‘রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েক মণ পচা মাংস জব্দ করা হয়েছে। ওই মাংসগুলো ফ্রিজে রাখা ছিল। যা প্রায় ছয় মাস আগের বলে ব্যবসায়ীরা স্বীকার করেছেন। ওই মাংসগুলো বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে বিক্রি করা হতো।’

এ ছাড়া ওজন বাড়াতে খাসির মাংস পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল। অভিযানে ১১টি মাংসের দোকানির মধ্যে সাতজনকে চার লাখ টাকা জরিমানা ও চার মাংস ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী হাকিম।

বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, মাংসের ওজন বাড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা পেটের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

রমজানের আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও মাংস ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্তে দেশি গরুর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা ও বিদেশি গরুর মাংস ৪২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু অনেক জায়গায় ব্যবসায়ীরা ৫০০ টাকা দরে তা বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া ভেড়ার মাংস ৬০০ টাকার জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ৭২০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল কাপ্তান বাজারে।

‘ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দুই বাংলার সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে’

এসএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ