আওয়ার ইসলাম: আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা (পবিত্র জপমালা রানীর গির্জা) পরিদর্শন শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, শুভ বড়দিনকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে নিরবচ্ছিন্ন সুদৃঢ় নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে ৬৫টি গির্জায় প্রার্থনা হচ্ছে।
প্রতিটি গির্জা ও আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে এবং তল্লাশি গেট (আর্চওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে।
আজ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তাঁরা দিনটি উদ্যাপন করবেন।
এই উদ্যাপন সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গির্জার বাইরে কিছু পাঁচ তারকা হোটেলে প্রার্থনা হবে। সবকিছুকে ঘিরে আমরা কয়েক স্তরে সাদাপোশাকে এবং ইউনিফর্মে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘শহরজুড়ে তল্লাশি ও চেকপোস্টে কার্যক্রম চলছে। আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে। প্রতিটি গির্জা সিসিটিভির আওতায় আমরা নিয়ে এসেছি এবং তল্লাশি গেট (আর্চওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তল্লাশির মধ্য দিয়ে আসতে হচ্ছে। যেকোনো ধরনের ব্যাকপ্যাক বা ট্রলি ব্যাক তল্লাশি করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত—খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রতি এমন প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সবাই তাঁদের নিজেদের ধর্ম পালন করবেন। বড়দিনে যে আমাদের প্রার্থনা হবে, তা হলো এটি সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ।
এই বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করি, নিরাপদ একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’