শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫ ।। ৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওয়ান উম্মাহ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উসামা ওমরের কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত ফেনী-২ আসনে নির্বাচন করবেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু গুম-খুনের জন্য হাসিনার বিচার আবশ্যক: মির্জা ফখরুল ডাকসু নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা সাদিক কায়েমের মেঘনা নদী থেকে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে চোর সন্দেহে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা, দুইজন আহত ঋতুরাজ শরৎ: মানুষ ও প্রকৃতির উচ্ছ্বাস হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ১৫ কিলোমিটার যানজট ভোলার জনবান্ধব এসিল্যান্ড মেহেদী হাসানের বদলি আদেশ বাতিল চায় উপজেলাবাসী

শীর্ষ তিন আলেমের মূল্যায়ন: কেমন ছিলেন আল্লামা আবুল ফাতাহ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আজ সকালেই চলে গেলেন মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া। তিনি ছিলেন একাধারে আলেম, লেখক, খতিব, গবেষক ও শিক্ষক। তার এ বিস্তৃত কর্মক্ষেত্রে কাছ দেখেছেন এমন তিন জন শীর্ষ আলেম তাকে পেয়েছেন এবং কেমন দেখেছেন তাই তুলে ধরা হলো পাঠকের কাছে।

তিনি চির স্মরণী হয়ে থাকবেন
মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ, শায়খুল হাদিস, মালিবাগ জামিয়া

তিনি উদার মনের মানুষ ছিলেন। রসিক ছিলেন। সবসময় হাসি লেগে থাকত তার ঠোটে।

তিনি ছাত্র, শিক্ষক আলেম-ওলামা নিয়ে খুব ভাবতেন। তারা কিভাবে এলম ও আমলে তারাক্কি করতে পারে, দক্ষতা অর্জন করে জাতির খেদমত করতে পারে এসব বিষয় নিয়ে তিনি খুব ভাবতেব।

লেখালেখির ক্ষেত্রে তিনি গবেষণা কাজকে পছন্দ করতেন। আধুনিক বিষয় নিয়ে তিনি লিখতেন। তিনি যুগের চাহিদা অনুযায়ী কওমি সিলেবাসের সাথে কিছু আধুনিক বিষয় সংযোজন করার কথা বলতেন। তিনি আলেম সমাজের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এক সাথে সারা রাত জেগে ছিলাম
আল্লামা আবদুর রাযযাক আল হোসাইনী, প্রবীণ মুহাদ্দিস ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মারকাযু শাইখিল ইসলাম আল মাদানী

তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তাঁর চিন্তা-চেতনা থেকে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। আকাবির আসলাফদের অনুসরণ, বাংলা সাহিত্য চর্চা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি সবচেবেশি গুরুত্ব দিতেন।

আল্লামা আবুল ফাতাহ ছাত্র জীবিন থেকেই ছাত্র সমাজ নিয়ে ভাবতেন। তিনি ছাত্র ঐক্য পরিষদ গঠন করেন।এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রসমাজ বক্তৃতা, লেখালেখি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ করে তোলা। জাতির জন্য খেদমত করবে।

পরবর্তীতে 'লাজনাতুত ত্বলাবা'র জন্য তার সাথে আমি অনেক সফর করেছি। ত্বলাবার তিনদিন সম্মেলনে আমরা মশার কামড় খেয়ে সারারাত এক সাথে জেগে ছিলাম। আমি এবং আমার ছাত্ররা দোয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমিন।

সবকিছুতেই তিনি ছিলেন ঈর্ষণীয়
মাওলানা আবূ মূসা, শেখ জনুুেদ্দীন রহ. দারুল কুরআন মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদিস

সবকিছুতেই তিনি ছিলের ঈর্ষণীয়। দরস থেকে শুরু করে জাতীয় জীবন, ব্যক্তি জীবন থেকে পারিবারিক জীবন সবকিছুতেই তিনি একজন সফল মানুষ বলেই আমি মনে করি।

তিনি একজন বিদগ্ধ আলেম ছিলেন। তালেবে ইলম, উলামায়ে কেরাম, দেশ ও দশের জন্য তিনি ভাবতেন। মানুষ ছিলেন। সবসময় তার চেহারায় হাসি লেগে থাকত।উনি সবসময় প্রেরণা জুগিয়েছেন। তিনি ছাত্রদের বলতেন, কখনো হীনমন্যতার শিকার হওয়া যাবে না। সাহস নিয়ে ্এগিয়ে যেতে হবে।

বেফাকের সিলেবাস প্রণয়নে হুজুরের অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

শ্রুতি লিখন : মুহাম্মদ রকিব হাসান


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ