রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ১ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলের হাদির কবর জিয়ারত কওমি মাদরাসা সুনাগরিক তৈরির কারখানা: আল্লামা আবদুর রাজ্জাক আল হুসাইনী কুমিল্লায় হেফাজত নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা

৯/১১ হামলার মার্কিন সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন সৌদি আরব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

saudi2আওয়ার ইসলাম: ২০০১ সালের নাইন ইলেভেন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সৌদি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারবে বলে মার্কিন কংগ্রেসে যে বিলটি পাস হয়েছে, সেটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সৌদি আরব। কংগ্রেসকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখারও আহবান জানিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
বিলটি আইনে পরিণত হলে নিহতদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। আর তাই আশংকায় পড়েছে সৌদি আরব। ইতিমধ্যে রিপাবলিকান দলের নেতারাও অবশ্য বলতে শুরু করেছেন যে, এই আইনটিকে তারা আরো একটু পুনর্বিবেচনা করতে চান।
আর সিনেটের সংখ্যাগুরু নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেছেন, এই আইনের সম্ভাব্য ফলাফল ও পরিণতি কি হতে পারে তা এখনো আইন প্রণয়নকারীরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না।
এর আগে এই বিলটির বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট-এর দেয়া সেই ভেটোকেও খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
বিলটির পক্ষে ভোট না দেয়ার জন্য কংগ্রেস সদস্যদের রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু ক্ষতিপূরণ চাইতে পারা বিষয়ক এই বিলটি এখন আইনে পরিণত হতে আর বাধা নেই।
২০০১ সালের ওই ঘটনায় জড়িত ১৯জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিল সৌদির নাগরিক। অবশ্য, এই হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা দেশটি বরাবরই নাকচ করে এসেছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ কে বরাবরই হুশিয়ারি দিয়েছেন যে এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বয়ে আনবে।
কারণ এর ফলে রীতি অনুযায়ী অন্য দেশের সরকারী কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যে দায়মুক্তি দেয়া হয়, সেটি আর থাকবে না। ফলে অন্য দেশে কর্মরত মার্কিন বাহিনী বা কর্মকর্তাদেরও একই ভাবে বিচারের আওতায় আনার ঝুঁকি তৈরি হবে।
অন্যদিকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সৌদি বাদশাহের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বিলটি পাস হলে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের বন্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ তুলে নেবে।
আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ