বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

স্বীকৃতির বিপক্ষে কথা বলা ১৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কওমী সনদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে কথা বলা মানে দেশের পনের লাখ শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন কওমী শিক্ষাসনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম। তিনি বলেন, স্বীকৃতি আর শিক্ষানীতি এক জিনিস নয়।

আজ ২৪ আগস্ট ২০১৬ বুধবার দুপুরে রাজধানীর চৌধুরীপাড়ায় আলেমদের মতবিনিময় সভায় ‘কওমী শিক্ষাসনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ’- এর আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ইসলামের আলোকে শিক্ষানীতি সংশোধন ও অনতিবিলম্বে কওমী শিক্ষাসনদের স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছি।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ ও জাতীয় শিক্ষা আইন ২০১৬ [খসড়া] এর সব অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অসঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। এ বিষয়ে সবাইকে আন্দোলনের মাধ্যমে সব অসঙ্গতি দূর করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তকে অসঙ্গতি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যৎ আদর্শ মানুষ গঠনে পাঠক্রমের এসব অসঙ্গতি দূর করা জরুরি।

সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য জাতিগত স্বার্থবিরোধী কথা না বলার আহ্বান জানিয়ে মুফতি আবুল কাসেম বলেন, স্বাধীনতার পর এই চার যুগেও কওমী শিক্ষার্থীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। স্বীকৃতির অভাবের কারণে ঝরে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এই রঙ্গরস থেকে ফিরে এসে সনদের স্বীকৃতির জন্য একটু ভাবতে ও জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা আবদুর রহীম, মুফতি আবদুল কাইউম খান, মাওলানা আইয়ুব আনসারী, মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা সাঈদ নিজামী, মাওলানা আবদুল আলিম ফরিদী, মাওলানা মাসউদুল কাদির, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল্লাহ শাকির, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ মাসুদ প্রমুখ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ