সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বরগুনার ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বিএনপিতে যোগদানের খবরটি মিথ্যা নবীজির জীবনাদর্শ অনুসরণে জীবন আলোকিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশ-পাকিস্তান একে অপরকে সহযোগিতা করে যাবে–ড. ইউনূসকে জেনারেল সাহির ‘আলেম সমাজকে প্রকৃত ভূমিকা পালনে অগ্রণী হতে হবে’ ভাগ্যের পরিবর্তন চাইলে ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে হবে: শায়খে চরমোনাই মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারীর মৃত্যু, কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন ফেব্রুয়ারি নয়, জানুয়ারিতেই নির্বাচনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের মনিগাঁও মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী ২৯ নভেম্বর কোনোভাবেই পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেওয়া যাবে না: পীর সাহেব চরমোনাই ৫ দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জামায়াতের

ইবতেদায়ি বাদ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার জন্য একটি বোর্ড গঠনে আইনের খসড়া প্রণয়ন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জামা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। মন্ত্রণালয় এই খসড়াটি যাচাই-বাছাই করে দেখছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শেয়ারিং করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তারপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই খসড়ায় ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ২৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে গিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন কাজে সমস্যা ও ধীরগতি সৃষ্টি হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ফল প্রকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজের কাজ ফেলে দৌড়াতে হয় পরীক্ষা ও ফলের পেছনে। এ কারণে বিভিন্ন উইংয়ের কাজে ধীরগতি তৈরি হয়।

এসব সমস্যা ছাড়া বিগত সময়ে সরকারের নির্দেশনা ছিল প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের। সব বিষয় মাথায় রেখে খসড়া প্রস্তুত করা হয়। একটি প্রস্তাবনাসহ খসড়া পাঠানো হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৫ লাখ ৫৩ হাজার, ২৬৭ জন। আর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে ২৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ছিল। এই বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য একটি আলাদা শিক্ষা বোর্ড করার প্রয়োজন দেখা দেয়। কারণ সাধারণ আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নেওয়া এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার কোনওটিতেই এত পরীক্ষার্থী হয় না।

সেই হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজন। তবে এতে দুটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইবতেদায়ি এই বোর্ডের অধীনে নিতে পরছে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য মন্ত্রণালয়ের পলিসির ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ