ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ৯ আসনে লড়বেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা

সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে যুবকদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ। এটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি সহযোগী যুব সংগঠন। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর অল্প কয়েক মাসেই সারাদেশে বিস্তৃতি ছড়িয়েছে যুব আন্দোলন। এ সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন পীর সাহেব চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এই সংগঠনের শীর্ষ ৯ নেতৃত্ব। এরা হচ্ছেন, (১) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মারুফ শেখ। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া মিলে গঠিত হয়েছে। তিনি সামাজিকভাবে এই আসনের একজন পরিচিত মুখ। (২) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, একই সাথে তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি চাঁদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা মতলব উত্তর ও দক্ষিণ নিয়ে গঠিত হয়েছে। তিনি এই আসনের একজন পরিচিত মুখ। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মাদ ফজলুর রহমান,পীর সাহেব বাগিচাপুর রহ.; যিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন এবং তিনি এলাকার মানুষের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে অবদান রেখে গেছেন। (৩) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি আবু বকর সিদ্দিক। তিনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা গলাচিপা ও দশমিনা নিয়ে গঠিত হয়েছে।

(৪) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা এস এম আজিজুল হক। তিনি মাদারীপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা কালকিনি ও ডাসার উপজেলা এবং সদর আসনের আংশিক নিয়ে গঠিত হয়েছে। (৫) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতি আহমাদ আব্দুল জলিল। তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা কালীগঞ্জ উপজেলা ও সদর আংশিক নিয়ে গঠিত হয়েছে। (৬) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এডভোকেট বায়েজিদ হোসাইন। তিনি যশোর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা অভয়নগর উপজেলা, বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া নিয়ে গঠিত হয়েছে।

(৭) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মুফতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি জামালপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলা দিয়ে গঠিত। (৮) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পরামর্শ পরিষদ সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা সভাপতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন। তিনি গাইবান্ধা-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে। (৯) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পরামর্শ পরিষদ সদস্য ও পাবনা জেলা পশ্চিমের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন ফরিদী। তিনি পাবনা-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যা আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে।

উপরোল্লেখিত প্রার্থীগণ দলীয়ভাবে নাম ঘোষণার পর থেকেই নিজ আসনের এলাকা-পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন। প্রার্থীরা এলাকার প্রকৃত সংকট ও জনদুর্ভোগকে সামনে রেখে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সরাসরি রাজপথে থাকা একটি সংগঠন। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাইতুল মোকাররম উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত সংগঠনের সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধশত কর্মীকে আহত করেছিল। এছাড়াও ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, চানখারপুল, সাইন্স ল্যাবরেটরি ও পল্টন এলাকায় বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে সংগঠনের কর্মীরা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। তারা তৃণমূলে ইসলাম ও দেশপ্রেমিক জনতার বিজয়ের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।

১। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মারুফ শেখ, গোপালগঞ্জ-৩

২। মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, চাঁদপুর-২

৩। মুফতী এইচ এম আবু বকর, পটুয়াখালী-৩

৪। মাওলানা এস এম আজিজুল হক, মাদারীপুর-৩

৫। মুফতী আহমাদ আব্দুল জলিল, ঝিনাইদহ-৪

৬। এডভোকেট বায়েজিদ হোসাইন, যশোর-৪

৭। মুফতী জাহিদুল ইসলাম, জামালপুর-৩

৮। সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন,গাইবান্ধা-৪

৯। মাওলানা আনোয়ার হোসেন ফরিদী, পাবনা-৪

আরএইচ/