রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ ।। ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৫ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
২৭ মন্ত্রণালয়-সংস্থার সঙ্গে ইসির বৈঠক আগামীকাল পশ্চিম তীরে যেতে দেয়নি ইসরায়েল, জর্ডানে বৈঠক করলেন আরব মন্ত্রীরা  ২০ টাকার নোটে মসজিদের পরিবর্তে মন্দির, দায়ীদের বিচার দাবি মাওলানা ইউসুফীর নতুন তিন নোটে স্থান পেল মসজিদের ছবি চামড়া সিন্ডিকেট চক্র ভেঙে দিতে সোচ্চার হতে হবে একই দিনে রোজা-ঈদ পালনের দাবি নব ফিতনা: সাখাওয়াত হোসাইন রাজি কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: খেলাফত আন্দোলন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সংস্কারের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করার দাবি পীর সাহেব চরমোনাইয়ের জাপান ১ লাখের মতো কর্মী নেবে, বাড়বে বিনিয়োগ: প্রেস সচিব

জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাবে কি না জানা যাবে কাল


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল রোববার (১ জুন)। আপিল বিভাগের প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেবেন।

গত ১৪ মে চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। একের পর এক শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

এর আগে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি হয়ে অবসর) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। এরপর জামায়াত একাধিকবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় এবং দলের নাম পরিবর্তন করে ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ থেকে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ রাখে।

জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় যে বেঞ্চ তার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদত্যাগ করেন) এবং বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক (গত বছরের ১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন)।

সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়, এই নিবন্ধন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে অবসর) একই বছরের ৫ আগস্ট জামায়াতের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেন। ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।

২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন। ওইদিন রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এবং আহসানুল করীম। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ