বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ।। ১১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইরান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে : ট্রাম্প আদর্শ সমাজ গড়তে মাদরাসা অধ্যক্ষদের নেতৃত্ব জরুরি : ইআবি ভিসি নির্বাচনের আগে শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে: ইসলামাবাদী ফরিদপুর ভাঙ্গা থানায় ব্রীজ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  টেলিগ্রামে প্রেম,মাদরাসা ছাত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি, গ্রেপ্তার-১   ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের ৬ গবেষণাগার ধ্বংস, অপূরণীয় ক্ষতি সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজনের দাবি জামায়াতের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: তেহরান প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর করার পক্ষে বিএনপি, তবে... বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগের প্রস্তুতি, ক্ষতিপূরণ চায় ইরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনতে যাচ্ছে ইরান। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তেহরান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ।

লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাতিবজাদেহ বলেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওয়াশিংটনকে দায় নিতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরান পাল্টা জবাব দেয়। এরপর কয়েক দফা হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে ২২ জুন ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

জবাবে ২৩ জুন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

পরিস্থিতির জটিলতার মধ্যেই ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলও মার্কিন প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানায়। অন্যদিকে তেহরান দাবি করে, তারা আগ্রাসন প্রতিহত করে বিজয় অর্জন করেছে।

সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেন, “২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই। এর মাধ্যমেই যুদ্ধ বন্ধ হয়। তবে ইরান শুরু থেকেই পরিষ্কার করে দিয়েছে— আগ্রাসন বন্ধ না হলে কোনো যুদ্ধবিরতির প্রশ্নই ওঠে না।”

তিনি আরও বলেন, “ইরানি জনগণের প্রতিরোধের মাধ্যমেই জায়নিস্ট সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা কোনো লিখিত সমঝোতায় পৌঁছাইনি। যা ঘটেছে, তা হলো— জায়নিস্ট আগ্রাসনের অবসান। ইরান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকলেও বিনা উসকানিতে আক্রমণ চালাবে না।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ