যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকলেও ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা একে নিজেদের ‘বিজয়’ হিসেবে দেখিয়ে উদযাপন শুরু করেছেন।
ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেন, “এই ‘বিজয়’ প্রমাণ করে, ইরান এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে ইরানের প্রকৃত শক্তি।”
পার্লামেন্টের স্পিকার ও আইআরজিসির সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাহদি মোহাম্মাদি যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ‘‘ঐতিহাসিক ও বিশাল বিজয়’’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আজকের দিনটি একটি নতুন যুগের সূচনা।”
ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরোজ কামালভান্দিও একই সুরে কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কেউ থামাতে পারবে না। এটা গোটা বিশ্বকে বুঝতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানের যে সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে পারমাণবিক শিল্প যেকোনো বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে।”
এর আগে গত শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এরপর সোমবার রাতে পাল্টা জবাবে কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এই পাল্টাপাল্টি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
সূত্র: আল জাজিরা।
এমএইচ/