ইরানের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়িয়েও ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরাইল। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা বিমান ও স্থল অভিযানে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। শুক্রবার (২০ জুন) একদিনেই ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটি, দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনুসসহ মধ্য ও দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে। গাজা শহরের দেইর আল-বালাহের পশ্চিমে একটি বাড়িতে জেট বিমান হামলায় একাধিক মানুষ প্রাণ হারান।
একাধিক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ও মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৩৪ জন ত্রাণপ্রার্থী নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন।
মধ্য গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৭ জন, যাদের মধ্যে ২৩ জন ছিলেন ত্রাণ সংগ্রহে আসা সাধারণ মানুষ।
গাজা সিটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন। দক্ষিণ গাজায় ২২ জন নিহত, এর মধ্যে ১১ জনও ছিলেন ত্রাণপ্রার্থী।
২৭ মে থেকে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। কিন্তু আল জাজিরা জানিয়েছে, এই সংস্থার বিতরণকেন্দ্রের কাছেই ইসরাইলি বাহিনী বারবার হামলা চালাচ্ছে, যাতে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা এই উদ্যোগকে ব্যর্থ ও নিরাপত্তাহীন বলে সমালোচনা করেছে। মার্চ মাস থেকে ইসরাইল সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর থেকেই গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাগুলো।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন“এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ত্রাণ নিতে আসা ৪০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩,২০৩ জন।”
এনএইচ/