শান্তি আলোচনার কথা থাকলেও ইউক্রেনে সবচেয়ে ভয়াবহ ড্রোন হামলা করলো রাশিয়া। এক রাতে ৪৬০ টি ড্রোন ও ১৯ টি মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গত তিন বছরে সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
সোমবার (৯ জুন) ইউক্রেন বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে আল জাজিরা দাবি করেছে, বিমানবাহিনী দাবি করেছে গতরাতে রাশিয়া ৪৬০ টি ড্রোন ও ১৯ মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এ হামলা ইউক্রেনের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে চালানো হয় বলেও জানান তারা।
কয়েকদিন আগে রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। তারই জবাবে রাশিয়া মারাত্মক হামলা চালায় বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি আলোচনার আহ্বানের পর এবং বন্দি বিনিময়ের মধ্যেই রাশিয়া এ হামলা চালাল।
এদিকে, কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার ছোঁড়া ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি। মাত্র ১০টির মতো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে। এতে মাত্র ১ জনের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিভনের মেয়র ওলেকসান্ডার ট্রেটিয়াক বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একরাতে ড্রোন হামলাটি ছিল তার অঞ্চলে ‘সবচেয়ে বড় আক্রমণ’।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ড্রোন অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। রাশিয়ান বিমানঘাঁটিতে পারমাণবিক-সক্ষম সামরিক বিমান লক্ষ্য করে ইউক্রেনের ওই ড্রোন হামলা প্রতিহত করার দাবি করে মস্কো। এ ঘটনার পর থেকেই মস্কো প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সে অনুযায়ী রোববার ভোর থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার বিমান হামলা চালানো শুরু করে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। চলতি বছরে জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এই যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এখনো কোনো সমাধান আসেনি। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ইউক্রেনীয় বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
এমএম/