শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ।। ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৪ জিলহজ ১৪৪৬


ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুইশো। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন আবার নতুন করে জোরালো হয়েছে ২০২৫ সালের মার্চের মাঝামাঝি থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে। ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে তারা হামলা পুনরায় শুরু করেছে। এই পুনরায় হামলার ধারাবাহিকতায় ২৯ মে বৃহস্পতিবার একদিনেই নিহত হয়েছেন ৬৭ ফিলিস্তিনি।

তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে নতুন করে আরও ৬৭ জন নিহতের লাশ পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের টানা হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ২৪৯ জনে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯৮ জনের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হয়ে রেজিস্ট্রিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮৪ জন আহত হয়েছেন। সংঘাত শুরুর পর থেকে আহতের মোট সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯২ জনে পৌঁছেছে। অনেক আহত ব্যক্তি এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল সামরিক অভিযান থামিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, প্রায় দু’মাস শান্ত থাকার পর ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে আকাশপথে হামলা চালানো শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৬ জন এবং আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৫১ জন ফিলিস্তিনি।


জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই দীর্ঘমেয়াদী আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একইসঙ্গে বিধ্বস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রায় সকল অবকাঠামো।

 উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরায়েল এখন গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও রয়েছে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ