রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে মমতাজকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম মমতাজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মমতাজ বেগমের এজাহারভুক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি মামলার ৪৯ নম্বর আসামি, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলন দমন করতে তিনি ক্যাডার বাহিনীকে উৎসাহিত করতেন। তাদের হামলায় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. সাগর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
তদন্তকারী কর্মকর্তার মতে, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তে মমতাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয় সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে।
মামলার সূত্র অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাগর নামের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি নিহত হন। ওইদিন রাত ৩টার দিকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মরদেহ খুঁজে পান মা মোসা. বিউটি আক্তার।
পরে গত ২৭ নভেম্বর বিউটি আক্তার মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মমতাজ বেগম এজাহারের ৪৯ নম্বর আসামি।
এমএইচ/
