শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চীনে বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন আমি নির্বাচিত হলে ফুলবাড়িগেট শিল্পাঞ্চলকে পুনরায় প্রাণবন্ত করে তুলবো:  মাওলানা আব্দুল আউয়াল জুলাই সনদ-গণভোট : এই মুহুর্তের চ্যালেঞ্জ বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: নৌ উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পরেও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম: বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১ ৮ ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে তুলার গুদামের আগুন  গাজায় সাহায্যপণ্য সরবরাহের ওপর ইসরাইলের বিধিনিষেধ আ.লীগ জনগণকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সহিংসতা চালাতে চায় উন্মুক্ত মাঠে সব তাফসির মাহফিল স্থগিত করলেন আজহারী

তবে কি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে সৌদি আরব?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজা যুদ্ধ এখন কাগজে-কলমে শেষ, আর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আলোচনাও নতুন গতি পেয়েছে। এই পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে আবারও উঠে এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি—বিশেষ করে তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তি। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে আরব দেশগুলোকে রাজি করানো।

২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তবে শুরু থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের মূল টার্গেট ছিল আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব। দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিকে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প ও তার পরামর্শকরা।

সেই প্রচেষ্টাই এবার বাস্তবে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আগামী ১৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। হোয়াইট হাউস ইতোমধ্যেই তার এই সফর নিশ্চিত করেছে।

তবে সৌদি আরব এখনো চূড়ান্তভাবে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিচ্ছে কি না, সে বিষয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অগ্রগতি দেখতে চায় তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলো দেখে অনেকেই মনে করছেন, সৌদি অবস্থান নরম হচ্ছে।

এদিকে ট্রাম্পের আশা, যুবরাজের এই সফরেই সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পারে। রোববার সিবিসি নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা খুব কাছাকাছি। সৌদি আরবের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি।”

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সফরে শুধু আব্রাহাম চুক্তিই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সফরকে ঘিরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদিও সবকিছুই কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়েছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ক্রেতা সৌদি আরব। জ্বালানি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক কূটনীতিতে দেশ দুটি বহু দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি রাজপরিবারের টিকে থাকা এবং আঞ্চলিক প্রভাব ধরে রাখার ক্ষেত্রেও ওয়াশিংটনের সমর্থন এখনো অপরিহার্য।

সব মিলিয়ে প্রশ্নটা এখন—ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগেই কি সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে?
এর উত্তর মিলবে হয়তো যুবরাজ সালমানের আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরেই।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ