হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ ইসলামের দুশমন আর জামায়াতে ইসলামী কওমি মাদ্রাসার দুশমন।
তিনি দাবি করেন, যদি কখনও জামায়াত ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশে কওমি দেওবন্দী ধারা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ধারার মাদ্রাসাগুলোর অস্তিত্ব টিকবে না।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আল্লাহ তা না করুক, যদি এই ফেরাউনের জাত আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এ দেশের মাদ্রাসাগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমি কসম করে বলছি, তারা কওমি ও সুন্নিয়ত ধারার মাদ্রাসা মুছে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী মুখে ইসলামের কথা বললেও বাস্তবে তারা ইসলামী শিক্ষার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এই দলের নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে নানা প্রকারভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। তারা ইসলামী রাজনীতির নামে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে।
হেফাজত আমিরের এ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, “মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন।
জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে বরং মুক্তহস্তে সহায়তা দিয়েছেন।”
এনএইচ/