শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মসজিদে প্রবেশ করে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় রোববার (২ নভেম্বর) মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী বাজার এলাকার উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিস-সংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে বলে সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।
স্থানীয় মুসল্লি ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর বাতকুচি গ্রামের জহুর উদ্দিনের তিন ছেলে ফরহাদ মিয়া, রুবেল মিয়া ও ফারুক মিয়া মসজিদে প্রবেশ করে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। তারা ইমাম মাওলানা শফিকুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেন, আজ থেকে এই মসজিদে আর আজান দেওয়া যাবে না। আমাদের অনুমতি ছাড়া আজান দেওয়া নিষেধ।
এ সময় ইমাম শফিকুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে ওই তিন যুবক তাকে ভয়ভীতি দেখান। কথা না বাড়িয়ে আত্মরক্ষার্থে ইমাম শফিকুল ইসলাম মসজিদ থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ওই যুবকেরা মসজিদের মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কয়েকজন জানান, ওই তিন যুবক মাদকাসক্ত এবং তারা এলাকায় নানাভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে আসছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
শেরপুর জেলা ইমাম-মুয়াজ্জিন ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাওলানা সাখওয়াত হোসেন সোহাগ বলেন, মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। জড়িতদের দ্রুত ও কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে, তদন্ত চলছে। তারা আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
এলএইস/