আহমাদুল্লাহ মেশকাত, গোপালগঞ্জ
আগামী ১৫ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন।
আজ (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার শামসুল উলুম রহিমদিয়া মাদ্রাসায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কাশিয়ানী ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও রহিমদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান। এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক ও গোপালগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শুয়াইব ইবরাহীম।
এছাড়া ওলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা ফখরুল আলম এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি শুয়াইব ইবরাহীম বলেন- খতমে নবুওয়তের বিশ্বাস ইসলামের অন্যান্য যে কোন বিষয় থেকে স্বতন্ত্র। খতমে নবুয়তের বিশ্বাস অটুট থাকলে ইসলাম কেয়ামত পর্যন্ত অটুট থাকবে। খতমে নবুয়তের বিশ্বাসে কোন প্রকার ফাটল ধরালে ইসলাম ধ্বসে পড়বে। এ জন্যই ইসলামের শুরুলগ্ন থেকে খতমে নবুওয়ত আকিদা রক্ষায় মুসলমানেরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ভণ্ড মুসাইলিমা কাজ্জাবের বিরুদ্ধে একটিমাত্র জিহাদে বারো শ` মুসলমান শহীদ হয়েছিলেন, যাঁদের নয়শ`ই কোরআনের হাফেজ ছিলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছোট-বড় সকল পক্ষের দাবি মেনে নিতে পারলে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নব্বই শতাংশ মুসলিম নাগরিকের ঈমানের দাবি কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করতে পারবে না কেন? কাদিয়ানীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে তাদের স্বতন্ত্র ধর্মের পরিচয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করা একান্ত প্রয়োজন। এতে তারা নিজস্ব ধর্মের পরিচয় পাবে, সংখ্যালঘু হিসাবে তাদের নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত হবে। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্ম সুরক্ষিত থাকবে। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাও সহজ হবে।
সম্মেলনে অন্যান্য আলোচকেরা বলেন- আমরা আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, আগামী ১৫ নভেম্বর মহাসম্মেলনের আগেই সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় মহাসম্মেলন থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে গণমানুষের এ দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ওলামা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ আনিসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আহমাদুল্লাহ মিশকাত, মাওলানা হাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাস্টার ট্রেইনার মাওঃ আব্দুল আজিজ, মুফতি ইমরান হুসাইন আফসারী প্রমুখ।
এলএইস/