মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

নবি জীবনে মিসওয়াক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফুযায়েল আহমদ

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:لولا أن أشقّ على أمّتِي لأمرتُهم بالسواكِ عند كلّ صلاةٍ. (البخاري ومسلم) আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হত তাহলে আমি তাদেরকে প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াকের আদেশ করতাম।

নাজাফাত ও পরিচ্ছন্নতা এবং তাহারাত ও পবিত্রতার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোর দিয়েছেন তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: মিসওয়াক।

মিসওয়াকের স্বাস্থগত যেসব ফায়দা রয়েছে সেগুলো তো আছেই। কিন্তু আমরা একজন মুমিন হিসেবে দ্বীনি দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও সৌভাগ্যের কথা হচ্ছে: মিসওয়াক আল্লাহর তায়ালার রিযা ও সন্তুষ্টির কারণ হয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: السِّواكُ مَطهَرةٌ للفمِ مرضاةٌ للرَّب মিসওয়াক মুখকে খুব পবিত্র করে এবং রবকে করে খুব সন্তুষ্ট।

কোন জিনিসের ফায়দা ও উপকারের দুটি সূরত। দুনিয়াবী ফায়দা ও আখেরাতের উপকারিতা। মিসওয়াকের মধ্যে ফায়দার দুটি সুরত একসজ্ঞে পাওয়া যায়।

এর দ্বারা যেমন মুখ পরিষ্কার হয়, পবিত্র হয় এবং হয় জিবাণুমুক্ত তেমনি এটি আল্লাহর তায়ালার রিযা ও সন্তুষ্টি লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির পরিপূর্ণ প্রকাশক্ষেত্র হচ্ছে আখেরাত।

হাদিসে এসেছে যে, পেয়ারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেকবার ঘুম থেকে ওঠে, বিশেষত তাহাজ্জুদের সময় পাবন্দি ও গুরুত্বের সাথে মিসওয়াক করতেন। ঘরে প্রবেশ করেও প্রথমে মিসওয়াক করতেন।

এসব হাদিসের উপর ভিত্তি করে উলামায়ে কেরাম বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তো বিভিন্ন সময়ই মিসওয়াকের আমল করার বিষয় হাদিসে এসেছে।

তবে পাঁচ ক্ষেত্রে মিসওয়াক করার গুরুত্ব একটু বেশি। ১/ ওজুতে। (যে কোন সময় এবং যে কোন উদ্দেশ্যে করা হোক।
২/ নামাজের জন্য। (যদি আগেই ওজু করা হয়ে থাকে এবং অনেক পর নামাজ পড়তে হয়। ৩/ তেলাওয়াতে কুরআনের জন্য।

৪/ ঘুম থেকে উঠে। ৫/ মুখে দুর্গন্ধ বা দাতে ময়লা থাকলে পরিস্কার করার উদ্দেশ্যে।

একে তো নামাজের জন্য মিসওয়াক সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অলসতা ও অবহেলার কারণে তরক করলে গুনাহ হবে। আমরা অধিকাংশই এটা খেয়াল করি না কিংবা জানিই না। মিসওয়াককে মুস্তাহাব দরজার সুন্নত মনে করি।

দ্বিতীয়ত: মিসওয়াক যে ওজু-নামাজের সাথে খাস ও বিশিষ্ট নয় বরং এটি একটি ব্যাপক ও সবসময়ের আমল; এটাও আমাদের অধিকাংশের জানা নেই।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মিসওয়াকের উপর পরিপূর্ণ আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ