বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ইসলামে হিজাব তথা পর্দার বিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি উবায়দুল্লাহ জুনাইদ: যৌনাঙ্গকে হিফাজত করা ও সংযত রাখা পর্দার বড় বিধান। শরীয়তে নারীর জন্য পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে। নারীকে হাদীস শরীফে ‘আওরত’ বলা হয়। আওরত শব্দের অর্থ গুপ্ত বা আবৃত। নারীর নামেই বুঝা যায় নারীর জন্য পর্দা আবশ্যকীয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস সেলফে বা সিন্দুকে রাখা হয়; জনসম্মুখে নয়। যদি টাকা পয়সা সযত্নে রাখেন, আর মা বোনদেরকে বাহিরে ছেড়ে দেন, তাহলে মনে হয় আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত টাকা পয়সার চেয়েও অনেক কম। কিন্তু এই সাধারণ বিষয়টি মানুষ বুঝতে চায় না।

পৃথিবীর সকল জিনিস আল্লাহ্ তাআলা জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। আর সেখানে কিছু নেগেটিভ ও পজিটিভ দিকও আছে। পুরুষ-মহিল পরস্পর পজিটিভ ও নেগেটিভ। তাদের একে অপরের প্রতি অনুভূতি ও উপলব্ধি আছে, আকর্ষণ- বিকর্ষণ আছে, এই জন্য সেখানে পর্দা দিতে হয়। বিদ্যুতের তারের উপর যদি আবরণ না থাকে ,সেখানে যেমন শর্ট- সার্কিট হয়, অনুরূপ নারী-পুরুষের মধ্যে যদি পর্দা না থাকে শর্ট সার্কিট হবে।

আর সেই আগুনে শুধু সংসার নয় বরং গোটা সমাজ ভস্মীভূত হয়ে যাবে। আমরা দেখি ,আমাদের শরীরের ভিতরের রক্ত- মাংস রক্ষা করার জন্য আল্লাহ্ তাআলা ত্বক দিয়েছেন ,ত্বকে যদি পচন ধরে ভিতরেও পচন সৃষ্টি হয়। আমাদের নারী-পুরুষের ইজ্জত-সম্মান ও আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য হিজাবের আবরণ বা ত্বক দিয়েছেন, যদি তা নষ্ট হয়ে যায়, গোটা সমাজে পচন ধরে যাবে। আল্লাহ্ তাআলা সকলকেই পর্দার বিধান মত আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

হিজাব এটা নতুন কিছু নয়। যুগে-যুগে মহিলারা তা ধারণ করে আসছে। তবে বিগত দেড়শ-দু'শ বছর থেকে আমরা পর্দাহীনতার সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। এমনকি একসময় ইহুদি-খ্রিস্টানরাও এটা ব্যবহার করছে এবং তাদের ধর্মীয় বইপুস্তকে হিজাব বা পর্দা সংক্রান্ত আলোচনা করেছে। যদিও তারা কমই পালন করে থাকে। একসময় যে ধর্মেরই হোক মহিলাদের একটা শালীন পোশাক ছিল, কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যুগের আধুনিকতার হাওয়ায়, বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তির স্রোতে

আমাদের অনেক কিছুই ভেসে গেছে। তন্মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধও ভেসে যাচ্ছে। এ কারণেই মূলত পোশাকের এ অবস্থা।

আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন, ‘(হে নবী!) আপনি আপনার পত্মীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, যখন কোনো প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়, তখন তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এমনকি চেহারাও যেন খোলা না রাখে। তারা যেন বড় চাদরের ঘোমটা দ্বারা নিজেদের চেহারাকে আবৃত করে রাখে।) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৬০)

লেখক: তরুণ আলেম, প্রাবন্ধিক।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ